Modi-Biden

বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান মোদী, ফোনে বার্তা দিলেন বাইডেনকে

জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন হাসিনা। তার পর সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ধর্মস্থান ভাঙচুরের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ০০:২৬
(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র এবং মোদী জো বাইডেন।

(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র এবং মোদী জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।

ইউক্রেনের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশও। মঙ্গলবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পরে এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরে।’’

Advertisement

জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছিলেন হাসিনা। তার পর সেখানে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ধর্মস্থান ভাঙচুরের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির কট্টরপন্থী দল জামাতে ইসলামির বিরুদ্ধে। গত ১৫ অগস্ট ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে মোদী এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি বাংলাদেশের পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়েরা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।’’

সোমবার বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপচারিতার ইউক্রেন প্রসঙ্গও এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেনের পরিস্থিতি সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মতবিনিময় হয়েছে।’’ ঘটনাচক্রে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমর জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদী। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন। গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদী। মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এ বার রাশিয়ার শত্রু দেশে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তাঁর ওই সফর।

আরও পড়ুন
Advertisement