(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কাশ্মীর। তবে এখনও সেখানকার পরিস্থিতি থমথমে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকা। হামলার পর সাত দিন অতিক্রান্ত হলেও অধরা জঙ্গিরা। পহেলগাঁওয়ের পরিস্থিতি নিয়ে পৃথক বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার পহেলগাঁও নিয়ে জোড়া বৈঠক করছেন মোদী এবং শাহ। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন মোদী। সেই বৈঠকে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সিডিএস অনিল চৌহান। সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই বৈঠক ডেকেছেন মোদী। অন্য দিকে, শাহও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন।
নিজের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং তিন বাহিনীর প্রধান। ছবি: পিটিআই।
সোমবারই জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছিলেন মোদী। সেই বৈঠকের এক দিন পরেই নিজের বাসভবনে সরকার এবং সেনার শীর্ষস্থানীয়দের নিয়ে আলোচনায় বসলেন তিনি। সূত্রের খবর, বাসভবনের বৈঠকের পরই আরও একটি বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সেই বৈঠকে থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় সড়ক-পরিবহণমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রী। সেই বৈঠকে শাহ, রাজনাথেরও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও, অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিরও বৈঠক হওয়ার কথা।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। প্রথমে এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র ‘ছায়া সংগঠন’ টিআরএফ। যদিও পরে দায় অস্বীকারও করে তারা। তবে ভারত পহেলগাঁও হামলার জন্য পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলেছে। শুধু তা-ই নয়, পড়শি দেশের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপও করেছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে পাকিস্তানিদের। পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। তারা দাবি করছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি ‘নিরপেক্ষ তদন্তেরও’ দাবি জানিয়েছে তারা। শুধু তা-ই নয়, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানও কিছু পদক্ষেপ করেছে। ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামাবাদ।