PM Modi

PM Narendra Modi: নববর্ষের শুরুতেই টিকা ১৫-১৮ বছর বয়সিদের, ষাটোর্ধ্বদেরও বুস্টার, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেন, করোনা চলে যায়নি। নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্তদের খোঁজ মিলছে ভারতেও। তাই কোভিড বিধি পালন আবশ্যক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:১৪
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি সংগৃহীত।

জাতির উদ্দেশে ভাষণের মেয়াদ মাত্র ১৩ মিনিট। আর তাতেই তিনটি বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন ইংরেজি বছরের শুরুতেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য টিকাকরণ অভিযান শুরু হবে। ওই কর্মসূচি শুরু হবে ৩ জানুয়ারি। পাশাপাশি ১০ জানুয়ারি থেকে কো-মর্বিডিটি সম্পন্ন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার টিকা দেওয়া হবে। শনিবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমনটাই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদেরও দেওয়া হবে ওই বুস্টার টিকা।

Advertisement

মোদী শনিবার জাতির উদ্দেশে বলেন, ‘‘করোনা এখনও পুরোপুরি চলে যায়নি। নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্তদের খোঁজ মিলছে ভারতেও।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমাদের কোভিড বিধি যথাযত ভাবে পালন করতে হবে। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি। দেশে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড ও লক্ষাধিক আইসিইউ বেড প্রস্তুত রয়েছে।’’

১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। শিশু চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘’১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া জরুরি ছিল। এটা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। স্কুল খুলে গিয়েছে। তাই ওদের বাইরে বেরোতে হচ্ছে। সব দিক থেকে দেখলে ছোটদের টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছিল। ওমিক্রনে বাচ্চারাও আক্রান্ত হচ্ছে। এ বার তারাও টিকা পেলে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে। টিকাকরণের ফলে সংক্রমণ কতটা কমবে এখনই তা বলা না গেলেও টিকায় মৃত্যুহার কমছে লক্ষ্যণীয় হারে।’’

চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা খুব দরকার ছিল। বুস্টার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। বুস্টারের সঙ্গে দেশে এই মুহূর্তে যারা কোভিডের টিকাকরণের যোগ্য তাদেরও দ্রুত টিকাকরণ শেষ করার চেষ্টা এবং যাঁরা প্রথমে টিকা নিয়েছেন, তাঁদের প্রিকশন ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ততে মনে হচ্ছে টিকাকরণের বিষয়ে আমরা সঠিক পথে চলছি। টিকাকরণের ফলে শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে, ৬ থেকে ৯ মাস পর ধীরে ধীরে সেই আন্টিবডি কমে যাচ্ছে বলে ল্যানসেটে একটি তথ্যও প্রকাশিত হয়েছে। সে দিক থেকে দেখলে, দেশে যাঁরা প্রথম দিকে টিকা নিয়েছেন, তাঁদের বুস্টারের প্রয়োজনীয়তা আছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement