Odisha Triple Train Accident

চারদিকে হাহাকার, কান্নার রোল, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে বালেশ্বরে লাইন বহু মানুষের

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয়রাই। রাত পেরিয়ে ভোর। মৃত এবং আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
বালেশ্বর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২৩ ১০:০২
photo of Coromandel Express accident

দুর্ঘটনায় আহতদের রক্তদান করতে ভিড় মানুষের। ছবি: সংগৃহীত।

যে দিকে চোখ যায়, শুধুই ধ্বংসের ছবি। এবড়ো-খেবড়ো কামরা থেকে উঁকি দিচ্ছে হাত-পা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। একই সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় একটি মালগাড়িও। এই ৩ ট্রেনের দুর্ঘটনায় ওড়িশার বালেশ্বর মৃত্যুপুরী। শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই দুর্ঘটনার বীভৎস চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। চারদিকে রক্ত পড়ে রয়েছে। মানুষের হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসায় রক্তদানের হিড়িক পড়ল বালেশ্বরে।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর ঘুটঘুটে অন্ধকারে প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন স্থানীয়রাই। রাত পেরিয়ে ভোর। মৃত এবং আহতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শনিবার ভোর পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহত ৯০০ জনেরও বেশি। যদিও রেল জানিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৩৮। আহত ৬৫০ জনেরও বেশি। আহতদের জন্য রক্তদান করতে লাইন দিয়েছেন বহু মানুষ। এই ছবিই ধরা পড়েছে বালেশ্বরে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে গণেশ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘দুর্ঘটনার সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০-৩০০ জনকে উদ্ধার করেছি।’’ জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ যত এগোবে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনে অনেক যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

দুর্ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব-সহ রেলের পদস্থ আধিকারিকরা। ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে যান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও।

আরও পড়ুন
Advertisement