শরদ পওয়ার, অজিত পওয়ার থেকে সুপ্রিয়া সুলে, তিন জনেই ‘জল্পনা’ খারিজ করে দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত।
শরদ পওয়ার দিল্লিতে এসে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বিরোধী ঐক্য নিয়ে বৈঠকে বসার সময় থেকেই গুঞ্জন চলছিল, মহারাষ্ট্রে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার দলবল নিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রবল গুঞ্জন তৈরি হল, অজিত পওয়ার এনসিপি-র ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছেন। মহারাষ্ট্রে এখন শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে আসা একনাথ শিন্দের গোষ্ঠীর সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার চলছে। কিন্তু দলত্যাগ-বিরোধী আইনে শিন্দে ও তাঁর বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যেতে পারে। তাঁর পরিবর্তে অজিত পওয়ার বিজেপির সঙ্গে হাত মেলালে তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ শরদ পওয়ার, অজিত পওয়ার থেকে সুপ্রিয়া সুলে, তিন জনেই এই ‘জল্পনা’ খারিজ করে দিয়েছেন। অজিত পওয়ার নাটকীয় ভাবে ঘোষণা করেছেন, তিনি যত দিন বাঁচবেন, এনসিপি-র জন্যই কাজ করবেন। অজিত ইতিমধ্যেই ৫৩ জন এনসিপি বিধায়কের মধ্যে ৪০ জনের সমর্থন-সূচক সই সংগ্রহ করে ফেলেছেন বলে জল্পনা ছিল। অজিতের দাবি, তিনি কারও সই সংগ্রহ করেননি। শরদ পওয়ারও এই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
পওয়ার পরিবার জল্পনা উড়িয়ে দিলেও গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও একনাথ শিন্দের জোটের মধ্যে অবিশ্বাসের আবহ তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর। কারণ বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস ২০১৯-এ এক বার অজিত পওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ‘গোপনে’ সরকার গড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। শরদ পওয়ার শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি-কে এক ছাতার তলায় এনে মহারাষ্ট্রে জোট তৈরি করেছিলেন। ক্ষমতা হাতছাড়া হলেও সেই জোট এখনও অব্যাহত।
পওয়ার পরিবার এনসিপি-তে ভাঙন বা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর জল্পনা খারিজ করার পরে আজ উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘‘মহা বিকাশ আঘাড়ি আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৮০-১৮৫টি আসনে জিতবে। লোকসভার ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪০টি আসন জিতবে। জাতীয় স্তরে বিজেপির ১১০টি আসন কমবে।’’