বৈসরন উপত্যকা। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁওয়ে হামলা চালাতে জঙ্গিরা একে ৪৭ এবং এম৪ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করেছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে কার্তুজও। প্রাথমিক তদন্তের পর অন্তত তেমনই দাবি তদন্তকারীদের এক সূত্রের। শুধু তা-ই নয়, হামলার আগে এক স্থানীয় নাগরিক এবং পর্যটকের ফোনও কেড়ে নেয় জঙ্গিরা।
সূত্রের খবর, জঙ্গিরা কোকেরনাগের জঙ্গল হয়ে ২০ কিলোমিটার হেঁটে বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছেছিল। পহেলগাঁও থেকে বৈসরন ৬ কিলোমিটার দূরে। পুরো এলাকা পাহাড় আর ঘন জঙ্গলে ঘেরা। আর অনেকটাই উঁচুতে এই উপত্যকা। ফলে সরাসরি কোনও রাস্তা নেই। পর্যটক আর ট্রেকিংপ্রেমীদের জন্য এই জায়গা অত্যন্ত পছন্দের। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই পর্যটনস্থলের কোন জায়গা দিয়ে ঢুকে হামলা চালানো হবে, হামলা চালিয়ে কোন দিকে থেকে পালানো যাবে, সব কিছু আগে থেকেই নখদর্পণে ছিল জঙ্গিদের। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হামলা চালিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে জঙ্গিরা।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই কার্তুজ একে ৪৭ এবং এম৪ অ্যাসল্ট রাইফেলের। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, হামলা চালাতে এই দুই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। গত ২২ এপ্রিল বৈসরনে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই হামলায় ২৫ ভারতীয় এবং নেপালের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের কোনও হদিস মেলেনি।