(বাঁ দিকে) ঝাঁসির হাসপাতালে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তায় ছড়ানো হচ্ছে চুন (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অগ্নিকাণ্ডের পর ঝাঁসির হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। আর সেই কারণে তড়িঘড়ি ধোয়া হল হাসপাতাল চত্বর। শুধু তা-ই নয়, দুর্গন্ধ দূর করতে রাস্তায় ছড়ানো হল চুন, দেওয়া হল সুগন্ধীও। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাল ভিডিয়োয় তৎপরতার এই ছবি ধরা পড়েছে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করেই উত্তরপ্রদেশে সরকার এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ১০ সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যুর পরেও স্থানীয় প্রশাসনের এই আচরণকে ‘অমানবিক’ বলে অভিহিত করেছে হাত শিবির। সমাজমাধ্যমে কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়েছে, ‘বিজেপি সরকারের অমানবিকতা দেখুন। এক দিকে, বাচ্চারা পুড়়ে মারা যাচ্ছে। তাদের পরিবার শোকে কান্নাকাটি করছে। আর অন্য দিকে, উপমুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে রাস্তায় চুন ছড়ানো হচ্ছে।”
শুক্রবার রাতে আগুন লাগে ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে। মৃত্যু হয় ১০ সদ্যোজাতের। আহত অবস্থায় ১৬ জন শিশুকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার সকালে হাসপাতালে পৌঁছে যান উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত সাত সদ্যোজাতের দেহ চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি তিন শিশুর দেহ শনাক্ত করতে প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সরকার। ঝাঁসির ডিভিশনাল কমিশনার এবং ডিআইজিকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি সদ্যোজাতদের চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনায় মৃত শিশুদের পরিবার পিছু ১০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৃতদের পরিবার পিছু দু’লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন। কী কারণে দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের আগুন লেগে থাকতে পারে।