IAF Wing Commander

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় বায়ুসেনার উইং কমান্ডারকে নিগ্রহ! স্কোয়াড্রন লিডার স্ত্রীও ছিলেন গাড়িতে, ধৃত অভিযুক্ত

বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় আক্রান্ত হন বায়ুসেনার এক উইং কমান্ডার। শিলাদিত্য বসু নামে ওই উইং কমান্ডারকে মেরে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় শিলাদিত্যের সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার মধুমিতা দত্তও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ২০:৩৫
বেঙ্গালুরুর রাস্তায় আক্রান্ত বায়ুসেনার উইং কমান্ডার শিলাদিত্য বসু।

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় আক্রান্ত বায়ুসেনার উইং কমান্ডার শিলাদিত্য বসু। ছবি: সংগৃহীত।

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় নিগৃহীত ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার শিলাদিত্য বসু! তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একদল কন্নড়ভাষীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে গাড়িতে চেপে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তিনি। শিলাদিত্যের স্ত্রী মধুমিতা দত্ত বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন লিডার। মধুমিতার জন্ম পশ্চিমবঙ্গের দমদমে। ঘটনার সময়ে শিলাদিত্যের সঙ্গে তিনিও ছিলেন গাড়িতে। স্বামীকে মারধরের ঘটনার পরে বেঙ্গালুরুর এক থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছেন মধুমিতা। অভিযোগ দায়েরের পর সন্ধ্যার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনার পরে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শিলাদিত্য। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে উইং কমান্ডারের শরীর রক্তাক্ত হয়ে রয়েছে। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুর সিভি রমন নগরে ডিআরডিও কলোনি থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দম্পতি। ওই সময়েই বাইকে চেপে তাঁদের পিছু নেন একদল কন্নড়ভাষী। তাঁরা শিলাদিত্যের গাড়ির পথ আটকান এবং কন্নড় ভাষায় কুকথা বলতে শুরু করেন। তাঁর গাড়িতে ডিআরডিও-র স্টিকার সাঁটানো দেখে, তা নিয়েও বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করেন। ওই সময়ে শিলাদিত্য গাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় এক থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান শিলাদিত্যের স্ত্রী মধুমিতা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করে পুলিশ।

বেঙ্গালুরুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (পূর্ব) ডি দেবরাজ জানান, দু’পক্ষের মধ্যে বচসা চলছিল এবং উভয়েই একে অন্যের উপর চড়াও হয়েছিল। পুলিশের দাবি, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং পথচারীদের থেকে সংগ্রহ করা ভিডিয়ো বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, উভয় পক্ষই এই গোলমাল এড়াতে পারত। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানান, দম্পতি থানায় পৌঁছোলে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক তাঁকে আগে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে তার পরে এফআইআর করার পরামর্শ দেন। পরে সমাজমাধ্যমের ভিডিয়ো দেখে পুলিশ পদক্ষেপ করে এবং ডিআরডিও সদর দফতরেও যায়। পরে মধুমিতা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ আরও জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে অভিযুক্ত দাবি করেছেন, গাড়িটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে মধুমিতা তাঁর উদ্দেশে কিছু মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু তা বুঝতে না পারার কারণে, তিনি কী বলছেন তা পুনরায় জানতে চান অভিযুক্ত। সেখান থেকেই বচসা শুরু হয় বলে দাবি অভিযুক্তের। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে ভিডিয়োগুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলির ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন