মন্ত্রী নবকিশোর দাশকে খুনে অভিযুক্ত এএসআই গোপাল দাশ ২৮ বছরের কর্মজীবনে ১৮টি পদক পেয়েছেন। — ফাইল ছবি।
ওড়িশার মন্ত্রীকে খুনে অভিযুক্ত এএসআই গোপাল দাশের ২৮ বছরের কর্মজীবন প্রায় ‘নিষ্কলঙ্ক’। সহকর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, কারও সঙ্গে কখনও বিবাদে জড়াননি। মোট ১৮টি পদক পেয়েছেন তিনি। আপাতত জেলে রয়েছেন তিনি।
ওড়িশা পুলিশে হাবিলদার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন গোপাল। ২০০৯ সালের অক্টোবরে তাঁর পদোন্নতি হয়। অ্যাসিসট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর (এএসআই) হন তিনি। ২৮ বছরের কর্মজীবনে ১২টি সার্ভিস মার্ক পেয়েছেন। আট বার নগদ পুরস্কার পেয়েছেন। গত দু’বছর ধরে গান্ধী চক পুলিশ ঘাঁটিতে নিযুক্ত রয়েছেন তিনি। গোটা কর্মজীবনে মাত্র এক বারই একটি ঘটনায় স্বল্প শাস্তি পেয়েছিলেন।
গোপালের স্ত্রী জয়ন্তী দাস দাবি করেছেন, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। যদিও তাঁর সার্ভিস বুকে এই নিয়ে কোনও তথ্য নেই। জয়ন্তীর কথায়, ‘‘গত ১২ থেকে ১৩ বছর ঝাড়সুগুগদায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কারও সঙ্গে কোনও বিবাদ হয়নি। রবিবার মেয়েকে ভিডিয়ো কল করেছিলেন। আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। ওঁর অসুস্থতা সংক্রান্ত সমস্ত প্রেসক্রিপশন রয়েছে আমার। অপরাধ দমন শাখাকে সমস্ত রকম সাহায্য করব।’’ প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক সূর্যমণি ত্রিপাঠীর আক্ষেপ, পুলিশকর্মীদের নিয়মিত শারীরিক এবং মানসিক চেকআপের কোনও ব্যবস্থা নেই। আর পুলিশকর্মীরা নিজেরাও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন না। তাঁর কথায়, ‘‘ওই পুলিশকর্মী কর্তৃপক্ষকে নিজের অসুস্থতার বিষয়ে কিছুই জানাননি। তিনি এবং তাঁর পরিবার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। দিলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত। এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।’’
রবিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ওড়িশার মন্ত্রী নবকিশোর দাশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে নামার পরেই দু’বার তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন গোপাল। বুকে গুলি লেগেছিল ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।