Bihar Hospital Incident

দুই সঙ্গীকে নিয়ে গণধর্ষণ করার চেষ্টা চিকিৎসকের! বিহারে অভিযুক্তের গোপনাঙ্গে কোপ নার্সের

নার্সের ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তিন জনকেই মত্ত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা প্রমাণ লোপাট করার জন্য হাসপাতালের সিসি ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৬

—প্রতীকী চিত্র।

দুই সঙ্গীকে জুটিয়ে নার্সকে গণধর্ষণের চেষ্টা চিকিৎসকের! বিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালের এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের সম্ভ্রম রক্ষায় হাতের কাছে থাকা একটি ব্লেড দিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে কোপ বসান ওই নার্স। কোনও রকমে ওই তিন জনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে পুলিশকে ফোন করে গোটা ঘটনার জানান তিনি। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে অভিযুক্ত তিন জনকে মত্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাতে বিহারের সমস্তিপুর জেলার গঙ্গানগর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিজের কাজ শেষ হওয়ার পর ব্যাগ গোছাচ্ছিলেন অভিযোগকারিণী। অভিযোগ, ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার মত্ত অবস্থায় তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন। অভিযোগকারিণী যে দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁরা হলেন সুনীল গুপ্ত এবং অবধেশ কুমার।

নার্সের ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তিন জনকেই মত্ত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। এই প্রসঙ্গে সমস্তিপুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্তেরা প্রমাণ লোপাট করার জন্য হাসপাতালের সিসি ক্যামেরাগুলি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। ওই নার্সের উপস্থিত বুদ্ধি এবং সাহসের জন্য তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা গিয়েছে বলেও জানান ডেপুটি পুলিশ সুপার। তিন জনের বিরুদ্ধেই খুন, ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। বিহারে বেশ কয়েক বছর মদ নিষিদ্ধ। সেখানে হাতে মদ নিয়ে ধরা পড়ায় তিন জনকে এই সংক্রান্ত আইনেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এক বোতল মদ, একটি ব্লেড, রক্তমাখা একটি চাদর এবং তিনটি মোবাইল ফোন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement