Tirumala Temple

তিরুমালা মন্দিরে আর কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য নয়! নির্দেশ মন্দির কর্তৃপক্ষের

তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে আর কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না। নির্দেশিকা জারি করে এ কথা জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। নিয়ম না মানলে আইনি পদক্ষেপও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:১৭
অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কের সূত্রপাত।

অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কের সূত্রপাত। —ফাইল চিত্র।

তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির চত্বরে আর কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না। বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়েছে মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’। তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডুর ‘শুদ্ধতা’ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর থেকে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয় তিরুমালা এবং তিরুপতির বিভিন্ন মন্দিরকে কেন্দ্র করে। এই আবহে মন্দির পরিচালন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে আর কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করা যাবে না। এই নির্দেশ না মানলে আইনি পদক্ষেপও করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি এবং তিরুমালায় একাধিক মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’-এর উপর। তিরুপতি বালাজি মন্দির, তিরুমালা বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরও পরিচালনা করে এই কমিটি। প্রতি দিন গড়ে ৬০ হাজার ভক্ত মন্দির দর্শনে আসেন। প্রসাদী লাড্ডুর ঘি-এর ‘শুদ্ধতা’ বিতর্কে বার বার চর্চায় উঠে এসেছে বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের নাম। এই আবহে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের পবিত্রতা এবং আধ্যাত্মিক শান্তি বজায় রাখতে রাজনৈতিক মন্তব্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সম্প্রতি বেশ কয়েক জন রাজনীতিক-সহ অন্য সাধারণ মানুষ তিরুমালা মন্দির দর্শন এসে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে কটু মন্তব্য করা হয়েছে বলেও মনে করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ‘তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম’-এর বক্তব্য, মন্দির দর্শনের পর মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন কিছু রাজনীতিক এবং সাধারণ মানুষ। এই ধরনের মন্তব্যগুলি তিরুমালা মন্দিরের আধ্যাত্মিক পরিবেশকে নষ্ট করছে বলে অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষের।

তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে অভিযোগ প্রথম তোলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর অভিযোগ, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এ ব্যাপারে চিঠিও লেখেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। তাঁর অভিযোগ, তিরুপতি মন্দিরের মর্যাদা ও পবিত্রতা নষ্টের চেষ্টা করেছেন চন্দ্রবাবু। লাড্ডু বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। বর্তমানে পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল প্রসাদী লাড্ডু বিতর্কের তদন্ত চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement