Jammu and Kashmir Terror Attack

পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর কী ভাবে পালিয়েছিল ঘাতকেরা, জানতে করা হচ্ছে ‘থ্রিডি ম্যাপিং’, চলছে ঘটনার পুনর্নির্মাণ

পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে সব ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এসেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা যে বয়ান দিয়েছেন, সেই সব তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু করেছে এনআইএ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫১
বৈসরন উপত্যকায় এনআইএ এবং নিরাপত্তাবাহিনী।

বৈসরন উপত্যকায় এনআইএ এবং নিরাপত্তাবাহিনী। ছবি: এএফপি।

পহেলগাঁওয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে সব ভিডিয়ো ফুটেজ হাতে এসেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা যে বয়ান দিয়েছেন, সেই সব তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার পুনর্নির্মাণ শুরু করেছে এনআইএ। ঘটনাস্থলের ‘থ্রিডি ম্যাপিং’ করে তদন্তকারীরা বোঝার চেষ্টা করছেন, ঘাতকেরা কোন দিক দিয়ে বৈসরন উপত্যকায় এসেছিল এবং হত্যাকাণ্ড চালানোর পর তারা কোন দিক দিয়ে পালিয়েছিল।

Advertisement

সূত্রের খবর, পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ১০০ জনের বেশি লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে জঙ্গিদের গোটা পরিকল্পনার অনেকটাই তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। তাঁরা জানতে পেরেছেন, বৈসরন উপত্যকায় একটি গাছের পিছনে লুকিয়ে ছিল দুই ঘাতক। হঠাৎ গুলিবর্ষণে পর্যটকেরা আতঙ্কে পালানোর চেষ্টা করতেই ওই দুই ঘাতক গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের সাত জনকে গুলি করে হত্যা করে। এই রকম বেশ কিছু তথ্য হাতে আসার পরেই ‘থ্রিডি ম্যাপিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। এনআইএ-র একটি সূত্রের মত, ঘাতকেরা কোন পথ দিয়ে পালিয়েছিল, তা জানতে পারলেই তাঁদের সম্ভাব্য গন্তব্য চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।

পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসবাদী হামলার সময়ে জ়িপলাইন থেকে গোটা এলাকার ভিডিয়ো করছিলেন গুজরাতের পর্যটক ঋষি ভাট। সেই ভিডিয়োয় নাশকতার ঘটনা যেমন ধরা পড়েছে, তেমনই জ়িপলাইন অপারেটরকে ধর্মীয় ধ্বনি দিতে শোনা গিয়েছে। মঙ্গলবার সেই জ়িপলাইন অপারেটরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনআইএ-র আধিকারিকেরা। সপরিবার বৈসরনে গিয়েছিলে ঋষি। জঙ্গিহামলার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তিনি জ়িপলাইনে ওঠার আগে তাঁর স্ত্রী-পুত্র এবং কিছু পর্যটক সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। তিনি যখন জ়িপলাইনের মাঝপথে, তখন অপারেটর মুজ়ামিলকে ধর্মীয় ধ্বনি দিতে শোনেন এবং সঙ্গে সঙ্গে গুলির শব্দ শুনতে পান। বিপদ আঁচ করে ঋষি জ়িপলাইন থামান এবং প্রায় ১৫ ফুট উপর থেকে লাফ দ়েন। এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে কোনওমতে এলাকা ছেড়ে পালান। অপারেটর মুজ়ামিল বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। এনআইএ-র তদন্তকারীরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

সূত্রের খবর, ওই জ়িপলাইন অপারেটরকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছেন, হামলার সময় তিনি কোথায় ছিলেন? কী কী দেখেছেন? জঙ্গিরা কোন পথে পালিয়ে গিয়েছে? মুজ়ামিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা ছাড়াও স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। ওই ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় ফোটোগ্রাফার বলে পরিচয় দিয়েছেন। হামলার সময় ঘণ্টাখানেক গাছে উঠে ছিলেন তিনি। ঘটনার দিন কী হয়েছিল, তা পুনর্নির্মাণের জন্য ওই ব্যক্তিকেও বৈসরনে নিয়ে গিয়েছিল এনআইএ। তাঁর মোবাইল ফোনটি তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন