—প্রতীকী চিত্র।
নতুন করে আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। ‘সৌজন্যে’ ইংল্যান্ড জুড়ে শুরু হওয়া করোনার নতুন রূপ (ভ্যারিয়ান্ট) ইজি ৫.১ অথবা এরিসের উপদ্রব। একের পর এক করোনা আক্রান্তের শরীরে করোনার এই নতুন রূপ চিহ্নিত হচ্ছে। যা নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই আবহে দেশে কোভিড আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্স করার সংখ্যা বাড়াতে সক্রিয় হতে চলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি, জোর দেওয়া হচ্ছে, পরীক্ষার সামগ্রিক সংখ্যা বাড়ানোতেও।
অতিমারি পর্ব শেষ হলেও করোনাভাইরাসের নতুন নতুন রূপের বৃদ্ধির বিরাম নেই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার এরিসের মোকাবিলায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে কেন্দ্র। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, করোনাভাইরাসের রূপ চিহ্নিত করার জন্য রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হবে। বলা হবে পরীক্ষার সামগ্রিক সংখ্যা বাড়ানোর জন্যেও। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে এরিস রূপটিকে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু গত তিন সপ্তাহে ইংল্যান্ডে করোনার এই নয়া রূপে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইংল্যান্ডে ১০ জন করোনা আক্রান্ত পাওয়া গেল এক জনের শরীরে এরিস রূপ মিলছে। এই নয়া রূপের উপদ্রবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
একাধিক বিদেশি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিশেষত বয়স্করাই করোনার এই নয়া রূপে আক্রান্ত হচ্ছেন। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তাঁরা করোনা টিকা নেওয়া সত্ত্বেও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের মত, এই নয়া রূপের উপর পর্যবেক্ষণ জরুরি হয়ে উঠেছে। ওমিক্রন গোত্রের এই ভাইরাস ওমিক্রম রূপের মতোই দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা এ-ও জানাচ্ছেন, এই প্রেক্ষিতে ‘বুস্টার শট’ নেওয়া খুব জরুরি। এরিস আক্রান্তদের উপসর্গ আলাদা কিছু নয়। সর্দি, হাঁচি-কাশি, হালকা জ্বর এবং মাথা ঘোরা হল করোনার নয়া রূপে আক্রান্তদের সাধারণ উপসর্গ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৫৪ জনের নতুন করে সংক্রমণ চিহ্নিত করা গিয়েছে।