Ram Mandir Inauguration

অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন ২২ জানুয়ারি, জাতগণনাকে ফের নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

বিজয়া দশমীর দিনে সরসঙ্ঘচালক হিসেবে নাগপুরে বার্ষিক বক্তব্যে রামমন্দির নির্মাণের বিষয়ে সরব হন মোহন ভাগবতও। অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে তাঁর ঘোষণা, নতুন রামমন্দিরের দরজা খুলবে ২২ জানুয়ারি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪১
রাম মন্দির নিয়ে ফের সরব প্রধানমন্ত্রী।

রাম মন্দির নিয়ে ফের সরব প্রধানমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।

বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে বিজয়া দশমীর দিনে রামলীলা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই জানুয়ারিতে রামমন্দির উদ্বোধনের আবেগ উস্কে দিতে সচেষ্ট হলেন নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, আগামী রামনবমী পালিত হবে অযোধ্যার নতুন রামমন্দিরে। এ দিনই সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত আরএসএসের বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে জানিয়েছেন, অযোধ্যায় নতুন রামমন্দিরের দরজা খুলবে ২২ জানুয়ারি। সেই একই দিনে মোদীর রামমন্দির নিয়ে এই বক্তব্য তাই আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ঠেকেছে রাজনৈতিক মহলের কাছে।

Advertisement

এ দিন দ্বারকার এক রাবণ-দহন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘কয়েক দিন পরেই ভগবান রাম আসতে চলেছেন। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা আমাদের জয়।’’ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হিন্দু ভোটের মেরুকরণের লক্ষ্যে রামমন্দির যে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে, তা আজ ফের এক বার স্পষ্ট করে
দিলেন মোদী।

২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন করার কথা মোদীর। আজ রামলীলা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রামমন্দিরে রামলালার অধিষ্ঠান হতে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। ভগবান রামচন্দ্র আসতে চলেছেন। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, রামমন্দির নির্মাণের সাক্ষী থাকতে পারলাম।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘আগামী রামনবমী পালন করা হবে ওই রামমন্দিরে।’’ একই সঙ্গে, রামের আদর্শে দেশ গড়ারও ডাক দেন তিনি।

বিজয়া দশমীর দিনে সরসঙ্ঘচালক হিসেবে নাগপুরে বার্ষিক বক্তব্যে রামমন্দির নির্মাণের বিষয়ে সরব হন মোহন ভাগবতও। তিনি বলেন, রামমন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে দেশ জুড়ে কর্মসূচি নিতে চলেছে সঙ্ঘ পরিবার।

রাজনীতিকদের এক বড় অংশের মতে, রামমন্দির নির্মাণ ও তার উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হিন্দুত্বের প্রচারকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি এবং আরএসএসের, যাতে তার দৌলতে তৃতীয় বার দিল্লির মসনদ দখল সম্ভব হয়। মূলত হিন্দু ভোটের মেরুকরণের মাধ্যমে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে থাকা প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়াকে রুখে দেওয়ার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির।

হিন্দু-ভোট এককাট্টা করার এই চেষ্টায় জাতগণনার দাবি ওঠা যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা বিলক্ষণ জানেন মোদী। সেই কারণেই এ দিন দেশে মাথাচাড়া দেওয়া ‘বিভেদকামী শক্তি’ সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন তিনি। নিশানা করেছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-কে। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলি বিহারের ধাঁচে সারা দেশে জাতভিত্তিক সমীক্ষার দাবি তুলে মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement
আরও পড়ুন