সরকারি অনুষ্ঠানে ভোট-প্রচারে প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরে পৌঁছে মোদীর মুখে সেই শান্তি ও নির্বাচনের কথাই। তিনি বলেন, “শান্তিতে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তার পরে নির্ধারিত সময়ে বিধানসভা নির্বাচন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ০৮:০৫
তরুণদের ক্ষমতায়ন, জম্মু ওকাশ্মীরের ভোলবদল বিষয়ক সরকারি কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী। শ্রীনগরে।

তরুণদের ক্ষমতায়ন, জম্মু ওকাশ্মীরের ভোলবদল বিষয়ক সরকারি কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী। শ্রীনগরে। ছবি: পিটিআই।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ভোর সাড়ে ছ’টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সূর্যপ্রণাম আসন দিয়ে তাঁর যোগব্যায়াম শুরু করবেন সুন্দরী ডাল লেককে পটভূমিকায় রেখে। তাঁর সঙ্গে যোগব্য়ায়ামে অংশ নেবেন উপত্যকার বাসিন্দা, বাছাই করা প্রায় ৯ হাজার কিশোর ও তরুণ। দু’দিনের সফরে ১৮০০ কোটি টাকার কৃষিভিত্তিক নানা প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদী। ১৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পেরও। সব মিলিয়ে স্পষ্ট— বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন জম্মু ও কাশ্মীরে। সরকারি কর্মসূচির মাধ্যমে তার প্রচারকাজ শুরু করলেন বিজেপি নেতা মোদী।

Advertisement

তৃতীয় দফায় নির্বাচনের পরে এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। তার ঠিক আগেই চন্দ্রভাগা নদীর উপরে বানানো বিশ্বের সব চেয়ে উঁচু সেতুর উপর দিয়ে
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হল। এর পরে প্রধানমন্ত্রী গিয়ে উপত্যকার তরুণদের সঙ্গে নিয়ে যোগব্যায়াম করবেন। তাঁদের বলবেন, উগ্রপন্থা ছেড়ে সমাজের মূল স্রোত ধরে
এগিয়ে চলার কথা। সব মিলিয়ে দেখানোর চেষ্টার কসুর নেই যে, ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার পরে শান্তি ফিরেছে কাশ্মীরে। যদিও গত এক মাস ধরে একটার পর একটা জঙ্গি হামলা হয়েই চলেছে। সেনারা অভিযানে গিয়ে মারা পড়ছেন। সেনাঘাঁটিতে হামলার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সরকারের দাবি, এ সব তেমন কিছু নয়। কাশ্মীরের মানুষ শান্তির স্বাদ পেয়ে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরে পৌঁছে মোদীর মুখে সেই শান্তি ও নির্বাচনের কথাই। তিনি বলেন, “শান্তিতে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তার পরে নির্ধারিত সময়ে বিধানসভা নির্বাচন করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” আদালতের নির্দেশ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন করে রাজ্যের মর্যাদা আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই নির্বাচনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত। শ্রীনগর বিমানবন্দরে নেমে মোদী এ দিন পৌঁছে যান শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে। সেখানে শুরু হয়েছে সরকারি কর্মশালা, যার বিষয় ‘তরুণদের ক্ষমতায়ন, জম্মু ও কাশ্মীরের ভোলবদল’। বক্তৃতায় মোদী বলেন, “কাশ্মীরের মানুষ ভোট দিয়ে বিধানসভায় নিজেদের প্রতিনি‌ধি বাছবেন, সে দিন আর বেশি দূরে নয়। রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেয়ে নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে জম্মু ও কাশ্মীর। তার আগে নতুন পরিস্থিতির সুযোগ নিতে তৈরি হতে হবে এখানকার তরুণদের।”

প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে শ্রীনগর জুড়ে। বিমানবন্দর থেকে কনভেনশন সেন্টার পর্যন্ত এলাকায় জায়গায় জায়গায় এসপিজি ও বিশেষ মার্কোস বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীনগরের প্রাণকেন্দ্রে ‘রেড জ়োন’ তৈরি করে উপত্যকার বাসিন্দাদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাকে ঘিরে যে ‘ব্লু জ়োন’, সেখানেও নিরাপত্তার প্রবল কড়াকড়ি। ডাল লেকের ধারে বুলেভার্ড রোডেও টহলদারি জোরদার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। দুর্গে পরিণত করা হয়েছে পুরনো শ্রীনগর এলাকাকেও।

আরও পড়ুন
Advertisement