বিজেপিকে ভোট দেওয়ার ‘অপরাধে’ মার! ছবি: সংগৃহীত।
অপরাধ, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। মধ্যপ্রদেশে বিরোধীদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্রচুর আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে শিবরাজ সিংহ চৌহানের বিজেপি। আর তাতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উৎসবেও মেতেছিলেন মহিলা। এই দুই কারণে পরিবারের বাকিদের কাছে মারধর খেলেন এক মুসলিম মহিলা।
মধ্যপ্রদেশের সেহোর বিধানসভা আসনের ভোটার সামিনা বি। তিনি সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। আর বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কথা তিনি গোপনও রাখেনননি। সবাই জানত, সামিনা শিবরাজের সমর্থক। ৩ ডিসেম্বর ভোটের ফল বেরোতেই দেখা যায় সমস্ত আশঙ্কা উড়িয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন শিবরাজ। তার পরেই আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি সামিনা। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে থাকেন তিনি। যা ভাল নজরে দেখেনি সামিনার পরিবার। সে দিন কিছু না বললেও পরের দিন যখন আবার আনন্দে মেতে ওঠেন সামিনা, তাঁর দেওর জাভেদ খান বাধা দেন। সামিনা জাভেদকে অগ্রাহ্য করেন। অভিযোগ, তার পরেই জাভেদ তাঁকে মারধর করেন। তাতে যোগ দেন পরিবারের কয়েক জন। সামিনাকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, এই পরিবারে থাকতে হলে বিজেপিকে সমর্থন করা চলবে না।
এর পরেই সামিনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ একাধিক ধারায় তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। সেহোরের জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেও অভিযোগ জানিয়েছেন সামিনা। পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে সামিনা বলেন, ‘‘আমি বিজেপিকে ভোট দিয়েছি বলে ও (জাভেদ খান) আমার উপর রেগে গিয়েছিল। আমাকে এমন মার মেরেছে যে, আমার দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। আমাকে জেলাশাসক স্যর কথা দিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে বিজেপি মধ্যপ্রদেশে ২৩০টি আসনের মধ্যে একাই ১৬৩টি আসন দখল করেছে। মনে করা হচ্ছে, শিবরাজ সরকারের ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্পের জেরেই রাজ্যের মহিলাদের ঢালাও সমর্থন পেয়েছে বিজেপি।