Merchant Navy Officer Murder Case

সাহিলের চেয়েও মুস্কান বেশি ভালবাসতেন আর এক জনকে! কার কথা বলছেন মুস্কানের মা?

কবিতার দাবি, মুস্কানের সবচেয়ে ভালবাসার মানুষ হলেন তাঁর মাসি। কিন্তু তিনি আজ বেঁচে নেই। মাসির মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর কন্যা। অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১১:৫৩
মুস্কান রস্তোগী।

মুস্কান রস্তোগী। —ফাইল চিত্র।

প্রেমিক সাহিল শুক্লের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন মুস্কান রস্তোগী। সাহিল তাঁর ‘মনের মানুষ’ হলেও, তাঁর থেকেও মুস্কানের কাছে ভলাবাসার মানুষ ছিলেন আর এক জন। যিনি সাহিলের থেকেও মুস্কানের কাছে অনেক বেশি প্রিয়। এক সংবাদমাধ্যমে এমনই দাবি করেছেন মুস্কানের মা কবিতা রস্তোগী।

Advertisement

কবিতার দাবি, মুস্কানের সবচেয়ে ভালবাসার মানুষ হলেন তাঁর মাসি। কিন্তু তিনি আজ বেঁচে নেই। মাসির মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁর কন্যা। অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন। মাসিকে নিজের মা বলেই মানতেন মুস্কান। কবিতা বলেন, ‘‘আমার দিদিকে মা বলেই মনে করত মুস্কান। আর ওর চোখে আমি সৎমা হয়ে গেছি। তাই সকলের কাছে আমার পরিচয় সৎমা বলেই দিত মুস্কান।’’ কিন্তু কবিতার দাবি, মুস্কান তাঁকে নিয়ে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। তিনিই মুস্কানের আসল মা। কিন্তু ওঁর মনে গেঁথে গিয়েছে যে, মাসিই তাঁর আসল মা।

মুস্কানের মা-বাবাকেও সৌরভের হত্যার জন্য দায়ী করছে তাঁর পরিবার। যদিও তাঁদের সেই অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন মুস্কানের বাবা-মা। সৌরভের পরিবার অভিযোগ তুলেছে যে, মুস্কানের পরিবারকে সৌরভ প্রচুর টাকা দিয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, সৌরভের টাকায় বাড়ি, গাড়ি সবই করেছে মুস্কানের পরিবার। সৌরভের পরিবারের তরফে ওঠা এই অভিযোগকে খণ্ডন করে মুস্কানের বাবার পাল্টা দাবি, সৌরভের কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি তাঁরা। তাঁর আরও দাবি, সৌরভ যদি তাঁদের টাকা দিয়ে থাকেন, তা হলে তার হিসাব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকবে। সেই কাগজপত্রও তাঁরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মুস্কানের মায়ের দাবি, তাঁদের অবস্থা এতটা খারাপ নয় যে, সৌরভের কাছে হাত পেতে টাকা নিতে হয়েছে। তাঁর স্বামী সোনার গয়নার কাজ করেন ছোটবেলা থেকে। ব্যবসায়ী হিসাবে তাঁর বেশ নামডাকও আছে। তাঁদের যা আয় ৫০ লক্ষ টাকার বাড়ি বানানো তাঁদের কাছে খুব একটা বড় বিষয় নয়। কবিতার অভিযোগ, সৌরভ যদি ৮০-৯০ লক্ষ টাকা নিয়েই আসত, তা হলে ও রকম ছোট ঘরে থাকতেন কেন? এত টাকা রোজগার করত কোথা থেকে? সৌরভ কি সত্যিই মার্চেন্ট নেভিতে কাজ করতেন? কবিতার দাবি, সৌরভ লন্ডনে কোনও একটি বেকারিতে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের কাছে মিথ্যা কথা বলেছিলেন যে, তিনি মার্চেন্ট নেভিতে কার করেন। সৌরভ তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্টে আড়াই লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু ওঁর নিজের মায়ের থেকে তাঁদের উপর বেশি ভরসা করতেন বলে দাবি কবিতার। তাই তাঁদের অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু সেই টাকাও সৌরভ লন্ডন থেকে ফেরার পর ধাপে ধাপে নিয়ে নেন। কবিতার দাবি, সৌরভ যে দিন লন্ডন থেকে ফেরেন সে দিন ৪০ হাজার টাকা নেন। তার পর ২০ হাজার টাকা। তার পর মুস্কানকে ফোন কিনে দেওয়ার জন্য বাকি ৪০ হাজার টাকাও ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেন।

Advertisement
আরও পড়ুন