Migrant Labourer

কেরলে সারমেয়দের জন্য আশ্রয়স্থলে দিন কাটছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের, অনুসন্ধানের নির্দেশ মন্ত্রীর

লম্বায় সাত ফুট। চওড়ায় চার ফুট। কেরলের এর্নাকুলামে সারমেয়দের থাকার জন্য এই ঘরটিতেই গত তিন মাস ধরে দিন কাটছে মুর্শিদাবাদ থেকে সেখানে কাজে যাওয়া শ্যামসুন্দরের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩০
Migrant worker from West Bengal living in a dog kennel by paying rent in Kerala, Labour Minister directs inquiry

সারমেয়দের আশ্রয়স্থল। —প্রতীকী চিত্র।

ভিন্‌ রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে দিন কাটাতে হচ্ছে সারমেয়দের থাকার জায়গায়! মুর্শিদাবাদ থেকে কেরলে কাজে গিয়েছিলেন শ্যাম সুন্দর নামে ওই শ্রমিক। সেখানে তাঁর মাথার গোঁজার ঠাঁই হয়েছিল সারমেয়দের আশ্রয়স্থলে (ডগ কেনেলে)। সাত ফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া একটি ছোট ঘর, যা মূলত সারমেয়দের থাকার জন্য ব্যবহৃত হত, সেটিকেই একটি এক কামরার ঘর বানিয়ে থাকছিলেন ওই ব্যক্তি। কেরলের এর্নাকুলাম জেলার ওই ঘটনার কথা সম্প্রতি প্রকাশিত হয় স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমে। অভিযোগ পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করে সে রাজ্যের প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, বিষয়টি জানাজানি হতেই কেরলের শ্রমমন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

কেরলের শ্রম দফতর থেকে বলা হয়েছে, “শ্রম কমিশনারকে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। অনুসন্ধান শেষে কমিশনার মন্ত্রীর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দেবেন।” সংবাদমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত ওই সারমেয়দের আশ্রয়স্থলটির মালিক এর্নাকুলামের পিরাভমের বাসিন্দা। পুরনো ওই সারমেয়দের আশ্রয়স্থলটিতেই গত তিন মাস ধরে ভাড়ায় থাকছেন বাংলার ওই পরিযায়ী শ্রমিক। অভিযোগ, সেখানে থাকতে দেওয়ার জন্য তাঁর থেকে মাসে ৫০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন সারমেয়দের আশ্রয়স্থলের মালিক। ছোট ওই ঘরের মধ্যেই ছিল একটি রান্নার স্টোভ, বিছানা, বসার জায়গা। ঘরের মধ্যে যাতে ঠান্ডা হাওয়া বা বৃষ্টির জল না ঢোকে, তার জন্য লোহার শিক দিয়ে তৈরি গেটটিকে পিচবোর্ড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।

বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ওই পরিযায়ী শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায়। যদিও পরবর্তী সময়ে এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। কারণ ওই পরিযায়ী শ্রমিক পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজের ইচ্ছায় সারমেয়দের ওই আশ্রয়স্থলে দিন কাটাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন
Advertisement