আইএনএস বিক্রান্তের ডেকে মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানের সফল অবতরণ হল রাতে। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রাতের অন্ধকারে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তে সফল ভাবে অবতরণ করল মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান। নৌসেনার ‘কৌশলগত সামরিক সক্ষমতা’র নিরিখে এই সাফল্য ভবিষ্যতের যুদ্ধে নির্ণায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি।
নৌসেনা সূত্রের খবর, ঘণ্টায় আড়াইশো কিলোমিটার গতিতে অবতরণকারী মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমানকে ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ করানো হয় বিক্রান্তের ডেকের রানওয়েতে। মাত্র মাত্র আড়াই সেকেন্ডের মধ্যে গতিবেগ নামিয়ে আনা হয়ে ‘শূন্যে’! প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের অন্ধকারে সফল এই ‘অ্যারেস্টেড ল্যান্ডিং’ ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি নিশ্চিত ভাবে বৃদ্ধি করবে।
#IndianNavy achieves another historic milestone by undertaking maiden night landing of MiG-29K on @IN_R11Vikrant indicative of the Navy’s impetus towards #aatmanirbharta.#AatmaNirbharBharat@PMOIndia @DefenceMinIndia pic.twitter.com/HUAvYBCnTH
— SpokespersonNavy (@indiannavy) May 25, 2023
নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আনা হয়েছিল মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। পরবর্তী সময়ে নৌসেনার জন্য আনা হয় মিগ-২৯কে মডেলটি। বিক্রান্তের পাশাপাশি ভারতীয় নৌসেনার আর এক বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য থেকেই ব্যবহার করা হয় মিগ-২৯কে যুদ্ধবিমান।
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি ৫ হাজার টনের আইএনএস বিক্রান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই রণতরী নির্মাণের কাজ চলেছে। ২০২১ সালের অগস্টে ‘সি ট্রায়াল’ শুরু করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর ধরে এই ‘ট্রায়াল’ প্রক্রিয়া চলে। এর পর গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিক ভাবে জলে ভাসিয়েছিলেন ২৬২ মিটার দীর্ঘ, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু এই যুদ্ধজাহাজটিকে।