Smuggling

পাচারকারীদের সঙ্গেই ‘যোগ’! চেন্নাই বিমানবন্দরে কর্তব্যরত একাধিক গোয়েন্দা অফিসার সাসপেন্ড

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যাঁদের নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে, সেই সব আধিকারিকেরা অভিবাসন, শুল্ক এবং রাজস্ব দফতরের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৬
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পাচার আটকানো যাঁদের কাজ, তাঁরাই ‘ভক্ষকের’ ভূমিকায়! পাচারকারীদের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে এ বার চেন্নাই বিমানবন্দরের একাধিক গোয়েন্দা অফিসারকে সাসপেন্ড করা হল। গোয়েন্দা দফতরের শীর্ষ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিন জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া-কে বিমানবন্দরের এক সূত্র জানিয়েছে, আরও অফিসার নজরদারির আওতায় রয়েছেন।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রে খবর, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবং যাঁদের নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে, সেই সব আধিকারিকেরা অভিবাসন, শুল্ক এবং রাজস্ব দফতরের। পাচারকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, পাচার হওয়া সোনা বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপদে চালান করে দেওয়া, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে যাত্রীর পারসপোর্ট এবং নথি যাচাই না করেই ছেড়ে দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তিনআধিকারিকের সঙ্গে সোনা পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের মধ্যেএক জন হলেন শ্রবণন। বাকি দু’জনের নাম উল্লেখ করেননি ওই গোয়েন্দা আধিকারিক। তাঁর কথায়, “অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর আসে, নথি যাচাই না করেই কোনও কোনও যাত্রীকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। সেথান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। তার পর তদন্ত শুরু হতেই পাচারকারীদের সঙ্গে বেশ কিছু আধিকারিকের যোগসাজশের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তবে কত দিন ধরে এই কাজ চলছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement