মধ্যপ্রদেশে আট বছরের কন্যাকে মেরে হাত-পা বেঁধে কুয়োয় ফেললেন বাবা! ধর্ষণেরও সন্দেহ পুলিশের
তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল শিশুকন্যা। শনিবার বাড়ির পাশের কুয়ো থেকে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হাত এবং পা বাঁধা ছিল একটি পাথরের সঙ্গে। খুনের অভিযোগে তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৪৯
মধ্যপ্রদেশে আট বছরের কন্যাকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
নিজের আট বছরের কন্যাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, তিনি কন্যাকে খুন করে তার হাত-পা বেঁধে কুয়োয় ফেলে দিয়েছিলেন। তিন দিন পরে কুয়ো থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর পুলিশের অনুমান, শিশুটিকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার চাচোড়া থানা এলাকার। শনিবার বাড়ির কাছের কুয়ো থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিন দিন আগে শিশুটি নিখোঁজ বলে পরিবারের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী তদন্ত, তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু শিশুটির বাবার আচরণ আধিকারিকদের সন্দেহজনক বলে মনে হয়। অভিযোগ, তিনি কন্যাকে খোঁজার বিষয়ে প্রথম থেকেই বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। তার ফলে পুলিশের খটকা লাগে।
তিন দিন পর শনিবার শিশুটির দেহ কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয়। তার হাত এবং পা একটি পাথরের সঙ্গে বাঁধা ছিল। এর পরেই তার বাবাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। জেরার মুখে তিনি কন্যাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। যদিও ধর্ষণের অভিযোগ তিনি স্বীকার করেননি। কী কারণে খুন, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। সংসারে ওই কন্যাকে নিয়ে কোনও অশান্তি চলছিল কি না, তার মায়ের ভূমিকা কী, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকদের অনুমান, শিশুটিকে খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে বিশদে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
