Theft

চুরির সেঞ্চুরি! কাশ্মীর থেকে গোয়া, চার বছর ধরে চুরি করে বেঙ্গালুরুতে ধৃত শ্রীনগরের দোকানমালিক

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীনগরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান ছিল সমীরের। কিন্তু সেই দোকান থেকে যা আয় হত তাতে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯
বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।

বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।

দোকানমালিক থেকে চোর! চার বছর ধরে একাই ১০০ চুরি করে অবশেষে গ্রেফতার হলেন শ্রীনগরের বাসিন্দা সমীর। বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শ্রীনগরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকান ছিল সমীরের। কিন্তু সেই দোকান থেকে যা আয় হত তাতে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। রাজস্থানের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। সমীরের দাবি, সেই ব্যক্তিই তাঁকে সহজে বেশি আয়ের রাস্তা দেখিয়েছিলেন। আর সেই রাস্তা হল চুরি। রাজস্থানের ওই ব্যক্তিও চুরির অভিযোগে একাধিক বার জেল খেটেছেন।

পুলিশের কাছে সমীর জানিয়েছেন, রাজস্থানের ওই ব্যক্তি তাঁকে পরামর্শ দেন, মোবাইল, ল্যাপটপের চাহিদা বাড়ছে। আর এগুলি চুরি করতে পারলে ভাল টাকা রোজগার হবে। সাল ২০১০। ওই ব্যক্তির পরামর্শেই দোকানের পর্ব চুকিয়ে চুরিতে হাত পাকানো শুরু করেন সমীর। তবে কাউকে সঙ্গে নিয়ে নয়, একাই চুরি করা শুরু করেন তিনি।

পুলিশের কাছে সমীর আরও দাবি করেছেন, রাতে তিনি চুরি করতেন না। তাতে ঝুঁকি ছিল অনেক বেশি। তাই দিনেই চুরি করা শুরু করেন। চুরির জায়গা হিসাবে বেছে নিতেন হস্টেল, সদস্য কম রয়েছে এমন বাড়িগুলিকে। প্রথম চুরি করা শুরু হয় শ্রীনগর থেকে। তার পর শ্রীনগর ছাড়িয়ে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও চুরি করা শুরু করেন সমীর। সেই তালিকায় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি, এ ছাড়াও গোয়া, মুম্বই-সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে চুরির অভিযোগ রয়েছে সমীরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে বেশ কয়েকটি চুরি হয়। তদন্তে নামতেই পুলিশ দেখে যে, সব চুরির ধরন একই রকমের। বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সমীরকে চিহ্নিত করে পুলিশ। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সমীরের বিরুদ্ধে ৩০টি জামিনঅযোগ্য মামলা রয়েছে। ২০টি নোটিস জারি করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু তাঁর নাগাল কিছুতেই পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে বেঙ্গালুরুতে ধরা পড়লেন।

আরও পড়ুন
Advertisement