রতন টাটা। নিজস্ব চিত্র।
বেঁচে থাকতে বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রতন টাটা। তার জন্য ঘর পেয়েছে মুম্বইয়ের পথে থাকা সারমেয়রা। মৃত্যুর পরেও সেই জনহিতকর কাজ যাতে বন্ধ না হয়, সেই ব্যবস্থা করে গিয়েছেন টাটা। নিজের ৩,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির বড় অংশ রতন টাটা এনডাওমেন্ট ফাউন্ডেশন (আরটিইএফ) এবং রতন টাটা এনডাওমেন্ট ট্রাস্ট (আরটিইটি)-কে দিয়ে গিয়েছেন। তারা সেই টাকা জনহিতকর কাজে ব্যয় করবে। উইল অনুযায়ী, সম্পত্তিতে ভাগ পেয়েছে টাটার পোষ্যেরাও। প্রাক্তন সহকর্মীকেও সম্পত্তির অংশ দিয়ে গিয়েছেন।
উইল অনুযায়ী, টাটার সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ পাচ্ছেন তাঁর দুই সৎ বোন শিরিন জিজিভয় এবং ডিয়ানা জিজিভয়। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্তার সংগ্রহে যে দুর্মূল্য ছবি এবং ঘড়ি ছিল, তা-ও পাবেন এই দুই বোনই। সম্পত্তির আর এক-তৃতীয়াংশ ‘ঘনিষ্ঠ’ মোহিনী এম দত্তকে দিয়ে গিয়েছেন টাটা। এই দত্ত টাটা গোষ্ঠীতে কর্মরত ছিলেন।
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি উইলে স্বাক্ষর করেছিলেন টাটা। সেখানে তিনি শর্ত দিয়েছিলেন যে, কেউ যদি ওই উইলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন, তা হলে সেই ব্যক্তি তাঁর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। উইল মেনে যেটুকু সুবিধা পেতেন, তা-ও আর পাবেন না। উইল অনুযায়ী, টাটা সন্সের ৭০ শতাংশ শেয়ার পাবে আরটিইএফ। বাকি শেয়ার পাবে আরটিইটি। টাটার সৎ ভাই জিমি নভল টাটা পাবেন জুহুর বাংলো। উইল অনুযায়ী, আলিবাগের বাড়ি পাবেন বন্ধু মেহলি মিস্ত্রি। টাটা নিজের তিনটি বন্দুকও তাঁকেই দিয়ে গিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে একটি .২৫ বোর পিস্তল। পোষ্যদের জন্য টাটা রেখে গিয়েছেন ১২ লক্ষ টাকা। ‘বন্ধু’ শান্তনু নাইডুর পড়াশোনার জন্য নেওয়া ঋণ মকুব করা হয়েছে।
টাটার এই প্রায় ৩,৮০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে নগদ ছিল চার লক্ষ টাকা। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে এবং স্থায়ী আমানত হিসাবে ছিল ৩৬৭ কোটি টাকা। বিদেশে ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল। তার মধ্যে সেশেলসে একটি জমি কেনা ছিল টাটার। বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার প্রায় ৬৫টি দামি ঘড়িও ছিল টাটার।