maharashtra

Maharashtra Politics: রাজ ঠাকরের কাছে দেবেন্দ্র ফডণবীস, এ বার একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভায় এমএনএস?

বিজেপি এবং শিন্ডে শিবিরের ইঙ্গিত, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাম সামনে রেখে উদ্ধবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে চলেছে তারা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ১৭:০৬
ফডণবীস এবং রাজ।

ফডণবীস এবং রাজ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র প্রধান রাজ ঠাকরের সঙ্গে দেখা করলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। শুক্রবার দাদরে রাজের বাসভবন শিবতীর্থে দুই নেতা ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে এমএনএসের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, বৃহন্মুম্বই পুরসভার আসন্ন ভোটে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী শিবসেনার পাশাপাশি এমএনএসের সঙ্গেও সমঝোতার উদ্দেশ্যেই বিজেপির এই উদ্যোগ। পাশাপাশি, মহারাষ্ট্রের নয়া মন্ত্রিসভায় রাজের দলের যোগদানের সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে আলোচনায়। প্রসঙ্গত, এখনও শিন্ডে এবং ফডণবীস ছাড়া মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় এখনও কোনও মন্ত্রী শপথ নেননি। শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হওয়ার কথা।

Advertisement

সপ্তাহ কয়েক আগে লীলাবতী হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছিল রাজের। তার পর শিন্ডেসেনার বিধায়ক সদা সরবণকর তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এর পরেই মরাঠা রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। শিন্ডে শিবিরের তরফে আগেই ইঙ্গিত মিলেছে, শিবসেনার প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাম সামনে রেখেই রাজনৈতিক অস্তিত্বের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন তাঁরা। মরাঠা মানুষের কাছে সেই আবেদন গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য ‘ঠাকরে’ পদবির উপস্থিতি জরুরি বলে মনে করছে শিন্ডেসেনার একাংশ। যদিও ‘একগুঁয়ে’ হিসেবে পরিচিত রাজের সঙ্গে যাওয়ার বিষয়ে শিন্ডে অনুগামীদের একাংশের আপত্তি রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বালাসাহেবের জীবদ্দশাতেই ২০০৬ সালে তাঁর প্রিয় ভাইপো রাজ শিবসেনার সঙ্গ ছেড়ে নিজের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) গড়েছিলেন। বালাসাহেবের নামে কোনও অভিযোগ না করলেও উদ্ধবের ‘নেতৃত্বগুণ’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ার পরে তাঁর নেটমাধ্যমে ওই ঘটনাকে ‘পতনের শুরু’ বলেছিলেন রাজ।

২০০৯-এ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটে ১৩টি আসনে জিতে চমকে দিয়েছিল রাজের দল। ২০১২-য় বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটে এমএনএন জেতে ২৭টি ওয়ার্ডে। কিন্তু কট্টরপন্থী অবস্থান এবং হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে ক্রমশ মরাঠা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজ। সাম্প্রতিক সময়ে লাউডস্পিকার-বিতর্কে কট্টর হিন্দুত্ববাদী অবস্থান নিয়েছেন রাজ। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কও এখন ভাল। সম্প্রতি বিধান পরিষদ নির্বাচনে রাজের দলের এক মাত্র বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। চলতি বছরেই দেশের বৃহত্তম পুরসভা বৃহন্মুম্বইয়ে ভোট হওয়ার কথা। বর্তমানে পুরসভা শিবসেনার দখলে রয়েছে। কিন্তু শিন্ডে, রাজ এবং বিজেপির সমঝোতা হলে মহাবিকাশ আঘাডী জোটের (শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি এবং কংগ্রেস যে জোটের সদস্য) পক্ষে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী দখলে রাখা কষ্টকর হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement