ছবি: পিটিআই।
মাত্র ২০ মিনিট! এই ২০ মিনিটই বাঁচিয়ে দিয়েছে নাগপুরের এক দম্পতির জীবন। পহেলগাঁওয়ে সবুজে ঢাকা বৈসরণ উপত্যকা। সেই ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’ ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করছিল না মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ওই দম্পতির। কিন্তু হাতে সময় কম থাকায় বৈসরণ উপত্যকা ছেড়ে ফিরে আসছিলেন। তখনই পিছনে শোনেন গুলির শব্দ। আর ফিরে তাকাননি দু’জনে। কোনও মতে প্রাণ হাতে দৌড় দেন। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। দৌড়তে গিয়ে স্ত্রীর পা ভেঙে গিয়েছে।
ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বেরিয়ে আসার পরেই শুরু হয় সেই ঘটনা। তার পরে অনেক ক্ষণ গুলির শব্দ শুনছিলাম। সবাই তখন পড়িমরি করে দৌড়চ্ছি। আর পিছন ফিরে তাকাইনি।’’ তিনি জানান, ওই সময়ে স্ত্রী এবং ছেলের নিরাপত্তা ছাড়া আর কিছু মাথায় আসেনি তাঁর। প্রাণপণে ছুটতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তাতেই ভেঙে যায় পা। ওই মহিলার কথায়, ‘‘হঠাৎ এক জন বলল, গুলি চলছে। পালাও। পিছন থেকে হুড়মুড় করে ছুটে এল লোকজন। ধাক্কা দিল। অনেক শিশুও ছিল। আর পিছনে ফিরে তাকাইনি।’’
ওয়াহিদ নামে এক গাইড বেশ কয়েক জন আহতকে ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালে উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেন। তিনি দাবি করেছেন, বহু জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছেন বৈসরণ উপত্যকায়।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের। যদিও সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি।