Tiger

২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশে ৩৪টি বাঘের মৃত্যু, ফের কি প্রথম স্থান হারাবে এই রাজ্য?

বন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকে প্রায় একই সংখ্যক বাঘ রয়েছে। অথচ শেষ বাঘ গণনায় দেখা গেল, কর্নাটকের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বাঘ মারা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৩
২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশে ৩৪টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে। তার পরেই রয়েছে কর্নাটক।

২০২২ সালে মধ্যপ্রদেশে ৩৪টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে। তার পরেই রয়েছে কর্নাটক। — ফাইল ছবি।

ভারতের ‘বাঘ-রাজ্য’-এর তকমা কি আর ধরে রাখতে পারবে মধ্যপ্রদেশ? ঘনীভূত হচ্ছে সন্দেহ। কারণ, ২০২২ সালে সে রাজ্যে ৩৪টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে। তার পরেই রয়েছে কর্নাটক। সেখানে ১৫টি বাঘের প্রাণ গিয়েছে। দেশের বাঘ গণনায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বন মন্ত্রক।

২০১৮ সালে শেষ বার ব্যাঘ্র গণনা হয়েছিল। বন বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই গণনায় দেখা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটকে প্রায় একই সংখ্যক বাঘ রয়েছে। অথচ শেষ বাঘ গণনায় দেখা গেল, কর্নাটকের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বাঘ মারা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের গণনায় দেখা গিয়েছিল, মধ্যপ্রদেশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৫২৬। আর কর্নাটকে বাঘের সংখ্যা ছিল ৫২৪। প্রতি চার বছর অন্তর দেশে বাঘের সংখ্যা গণনা হয়। ২০১৮ সালের পর ২০২২ সালে ফের গণনা হল।

Advertisement

গত বছর মধ্যপ্রদেশ এবং কর্নাটাকে কত বাঘের মৃত্যু হয়েছে, তার পরিসংখ্যান ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বাঘের মৃত্যুর কারণ সেখানে লেখা নেই। এনটিসিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে সারা দেশে ১১৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে এনটিসিএ।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্য বন সংরক্ষক জেএস চৌহান বলেন, ‘‘আমাদের (মধ্যপ্রদেশে) সব থেকে বেশি বাঘ। বাঘের দেহগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক যে, কর্নাটক এবং মধ্যপ্রদেশে বাঘের সংখ্যা একই হলেও বাঘের মৃত্যু এই রাজ্যে অনেক বেশি।’’ চৌহান জানিয়েছেন, একটি বাঘের জীবৎকাল ১২ থেকে ১৮ বছর। সে দিক থেকে দেখতে গেলে মধ্যপ্রদেশে বছরে ৪০টি পর্যন্ত বাঘের মৃত্যু স্বাভাবিক। ২০২১ সালে গোটা দেশে ১২৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছিল ৪২টি। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশে বাঘের মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যানই প্রকাশ করা হয়।

২০০৬ সালে ‘বাঘ-রাজ্য’-এর শিরোপা পেয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। তখন সেখানে বাঘ ছিল ৩০০। আর কর্নাটকে বাঘের সংখ্যা ছিল ২৯০। ২০১০ সালে কর্নাটকের কাছে ‘বাঘ-রাজ্য’-এর তকমা হারায় মধ্যপ্রদেশ। ২০১৪ সালে গোটা দেশে বাঘের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে নেমে যায় মধ্যপ্রদেশ। প্রথম ছিল কর্নাটক, দ্বিতীয় উত্তরাখণ্ড। ২০১৮ সালে ফের বাঘের সংখ্যার নিরিখে দেশে শীর্ষস্থান দখল করে মধ্যপ্রদেশ। ২০২২ সে কি ফের হারাবে স্থান, উঠছে সে প্রশ্নও।

আরও পড়ুন
Advertisement