Madhya Pradesh Borewell

শেষরক্ষা হল না! ১৪০ ফুট কুয়ো থেকে উদ্ধারের পরেও মৃত্যু মধ্যপ্রদেশের বালকের

গুনার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক রাহুল রঘুবংশী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, উদ্ধার হওয়া বালককে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তার নাড়ির স্পন্দন থেমে গিয়েছিল। শরীর শক্ত হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৬
রবিবার সকালে উদ্ধারকাজের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।

রবিবার সকালে উদ্ধারকাজের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই। ছবি: পিটিআই।

১৮ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চালিয়ে রবিবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের বছর দশেকের বালক সুমিত মীরাকে। তার পরই তাকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, বালকের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

গুনার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক রাহুল রঘুবংশী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, উদ্ধার হওয়া বালককে যখন হাসপাতালে আনা হয়েছিল তার নাড়ির স্পন্দন থেমে গিয়েছিল। শরীর শক্ত হয়ে গিয়েছিল। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় সুমিতকে। রাজস্থানে তিন বছরের শিশু চেতনাকে ঘিরে যখন উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মেঘ জমছে, মধ্যপ্রদেশের সুমিত উদ্ধার হওয়ায় একটা আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কিন্তু তা ক্ষণস্থায়ী হল। বাঁচানো গেল না সুমিতকে।

শনিবার বিকেলে বাড়ির সামনে খোলামুখ কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল সুমিত। তার পরই দ্রুত উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। ৪০ ফুট গভীরে আটকে ছিল সুমিত। সেখানে পৌঁছতে কুয়োর সমান্তরালে গর্ত খোঁড়া হয়। রাতারাতি সেই গর্ত খুঁড়ে সুমিতের কাছে পোঁছনোর চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। সকালে সুমিতকে উদ্ধার করেন তাঁরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

উদ্ধারের পর পরই গুনার অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার মান সিংহ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, বালককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খুব ধীরে শ্বাস চলছিল। অচৈতন্য। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা সুমিতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement
আরও পড়ুন