Lion

ট্রেনের লাইনে বসে ছিল দুই সিংহ, গুজরাতে মালগাড়ি থামিয়ে প্রাণ বাঁচালেন সজাগ চালক

চলতি বছর এপ্রিল থেকে ভাবনগর ডিভিশনের ট্রেন চালকদের তৎপরতায় ৪৪টি সিংহের প্রাণ বেঁচেছে। জুন মাসে ভাবনগর বন্দরের কাছে লাইনে বেশ কয়েকটি সিংহকে বসে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন এক চালক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ২০:৫৭

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভোরবেলা ট্রেন লাইনে বসেছিল দুই সিংহ। মালগাড়ির দুই চালকের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল দু’টির। গুজরাতের আমরেলি জেলার ঘটনা। গত কয়েক বছরে পিপিভাব বন্দর এবং উত্তর গুজরাতের সংযোগকারী রেল লাইনে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গিয়েছে বহু সিংহ।

Advertisement

পশ্চিম রেলওয়ের ভাবনগর ডিভিশনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পিপিভাব-রাজুলা বিভাগে মালগাড়ি চালাচ্ছিলেন লোকো পাইলট বিবেক বর্মা এবং সহকারী চালক রাহুল সোলাঙ্কি। আচমকাই তাঁদের লাল আলো দেখিয়ে সতর্ক করেন দুই বনকর্মী। রাতে ট্রেন লাইনের আশপাশে বিচরণকারী সিংহেরা যাতে বিপদে না পড়ে, সে কারণে টহল দেন এই বনকর্মীরা। তাঁরা লাল আলো দেখানোয় দ্রুত ব্রেক কষে মালগাড়ি থামান চালক।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই বনকর্মী ভোলাভাই এবং ভারতভাই মালগাড়ির চালকদের কাছে জানান যে, লাইনের উপর দু’টি সিংহ বসে রয়েছে। সিংহ দু’টি লাইন ছেড়ে সরে যাওয়ার পর সবুজ সঙ্কেত পেয়ে আবার চলতে শুরু করে মালগাড়িটি। রেলের আধিকারিকেরা মালগাড়ির দুই চালকের প্রশংসা করেছেন। চলতি বছর এপ্রিল থেকে ভাবনগর ডিভিশনের ট্রেন চালকদের তৎপরতায় ৪৪টি সিংহের প্রাণ বেঁচেছে। জুন মাসে ভাবনগর বন্দরের কাছে লাইনে বেশ কয়েকটি সিংহকে বসে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন এক চালক। তাতে রক্ষা পেয়েছে ১০টি সিংহের প্রাণ।

আরও পড়ুন
Advertisement