উত্তরপ্রদেশের পর বিহার, বাজ পড়ে এক দিনে মৃত্যু হল ২৫ জনের, আহত ৩৯ জন

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে পটনা,কিষাণগঞ্জ এবং আরারিয়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৮
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

উত্তরপ্রদেশের পর বিহার। এ বার বাজ পড়ে ২৫ জনের মৃত্যু হল নীতীশ কুমারের রাজ্যে। আহত হয়েছেন আরও ৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে বজ্রপাতে মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। মৃতদের পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, এই দুর্যোগের সময় রাজ্যবাসীকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মধুবনী জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। অওরঙ্গাবাদে ৪, সুপলে ৩, নালন্দায় ৩, লক্ষ্মীসরাই এবং পটনায় ২ জন করে, বেগুসরাই, জামুই, গোপালগঞ্জ, রোহতাস, সমস্তিপুর এবং পুর্ণিয়ায় এক জন করে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, শুধু জুলাইয়ে এখনও পর্যন্ত বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। যদিও অসমর্থিত সূত্রে খবর, বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইবে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে পটনা, কিষাণগঞ্জ এবং আরারিয়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারে বাজ পড়ে বারকাগাঁও গ্রামে ২২ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। তাঁদের আরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় বাজ পড়ে ১৭ জন ঝলসে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কিষাণগঞ্জের বাহাদুরগঞ্জে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পটনায় হয়েছে ৫২.৮ মিলিমিটার।

বুধবার উত্তরপ্রদেশে বাজ পড়ে এক দিনে মৃত্যু হয়েছিল ৩৭ জনের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় প্রতাপগড় জেলায়। তার পরই ছিল সুলতানপুর। সেখানে সাত জনের মৃত্যু হয়। চন্দৌলিতে ছয়, মৈনপুরীতে পাঁচ এবং প্রয়াগরাজে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয়, এই সব জেলায় বাজ পড়ে ঝলসে আহত হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি।

আরও পড়ুন
Advertisement