Kunal Kamra Joke Row

‘অজিত পওয়ার শিন্দেকে নিয়ে যা বলেছিলেন, ঠিক সেটাই বলেছি’, নিজের মন্তব্যে অনড় কুণাল কামরা

কুণাল কামরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, শিন্দে-মন্তব্যের জন্য ক্ষমা তিনি চাইবেন না। দাবি করেছেন, তিনি শিন্দেকে নিয়ে যা বলেছেন, একদা অজিত পওয়ার শিবসেনা প্রধানকে তা-ই বলেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৭
(উপরে) কুণাল কামরা এবং একনাথ শিন্দে (নীচে)

(উপরে) কুণাল কামরা এবং একনাথ শিন্দে (নীচে) —ফাইল ছবি।

তাঁর হাস্যকৌতুক অনুষ্ঠান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ইতিমধ্যেই বহুবিধ হুমকি পেয়েছেন তিনি। তার পরেও অবশ্য নিজের বক্তব্যে অনড় কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। সোমবার রাতে সমাজমাধ্যমে একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, শিন্দে-মন্তব্যের জন্য ক্ষমা তিনি চাইবেন না। দাবি করেছেন, তিনি একনাথ শিন্দেকে নিয়ে যা বলেছেন, একদা অজিত পওয়ার শিবসেনা প্রধানকে তা-ই বলেছিলেন।

Advertisement

‘নয়া ভারত’ নামের একটি অনুষ্ঠানে বর্তমান ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিদ্রুপাত্মক কিছু মন্তব্য করেন কুণাল। শিন্দের অবস্থান বদল নিয়েও কটাক্ষ করেন। কুণালেরই পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি জনপ্রিয় হিন্দি গানের নকল করে শিন্দের অঙ্গভঙ্গি এবং শারীরিক গঠন বর্ণনা করছেন তিনি। এক জায়গায় শিন্দেকে ‘গদ্দার’ বলেও উল্লেখ করা হয়। যদিও সেখানে কোথাও কুণালকে শিন্দের নাম করতে শোনা যায়নি। (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, মুম্বইয়ের খার এলাকার একটি হোটেলের ভিতর থাকা ‘হ্যাবিট্যাট’ নামের স্টুডিয়োয় ওই মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। পরে তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কুণালের শিন্দে-মন্তব্যের পরেই শিবসেনার কর্মী-সমর্থকদের রোষ গিয়ে পড়ে হোটেলটির উপরে। রবিবার রাতেই সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়। সোমবার ওই স্টুডিয়োটি ভাঙা শুরু করে বৃহন্মুম্বই পুরনিগম (বিএমসি)। দাবি, স্টুডিয়োটি জবরদখল করা জায়গার উপর তৈরি হয়েছিল।

কুণাল তাঁর বিবৃতিতে এই ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, “যাঁরা মশকরার জবাব ভাঙচুরের মাধ্যমে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সমান এবং স্বচ্ছ ভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে তো? আর পুরনিগমের সেই সব অনির্বাচিত কর্মীদের বিরুদ্ধে, যাঁরা কোনও নোটিস ছাড়াই হাতুড়ি নিয়ে স্টুডিয়ো ভাঙতে চলে এলেন?

এখানেই থামেননি কুণাল। তিনি বলেন, “ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে যদি আপনি একটি মশকরাকে সহজ ভাবে নিতে না-পারেন, তা হলে আমার অধিকারও বদলাবে না। আমি যত দূর জানি, আমাদের নেতা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে খোঁচা দিয়ে মজা করা আইনবিরুদ্ধ নয়।”

Advertisement
আরও পড়ুন