প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সৎবাবার লালসার শিকার হয়েছিল। ফাঁকা বাড়ির সুযোগে সৎকন্যাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে কেরলের এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সব মিলিয়ে ১৪১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে অপরাধীকে। শুধু তা-ই নয়, সাত লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে জরিমানার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা এবং তাঁর সৎবাবা, দু’জনেই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তবে পরে কেরলে চলে আসেন। অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকে নাবালিকা কন্যাকে লাগাতার ধর্ষণ করেন তাঁর বাবা। যখনই নাবালিকার মা বাড়িতে থাকতেন না, সেই সুযোগে সৎকন্যাকে ধর্ষণ করতেন। এমনকি, মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন।
তবে একটা সময় নির্যাতিতা তাঁর মায়ের কাছে ভেঙে পড়ে। গোটা ঘটনা জানায়। তার পরই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। সেখানে পকসো ধারার পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল চার্জশিটে। কেরলের ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশ্যাল আদালতে বিচার চলে অভিযুক্তের। বিচারের সময় সব ধারাতেই দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। সব মিলিয়ে মোট ১৪১ বছরের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক আশরফ এএম।