Bengaluru Murder

বেঙ্গালুরুতে তরুণী খুনে অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা! ধরার চেষ্টা হচ্ছে, জানালেন কর্নাটকের মন্ত্রী

বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানান, অভিযুক্ত কর্নাটকের নয়। তবে এর থেকে বেশি তথ্য তিনি দিতে পারবেন না। কারণ, এতে সুবিধা হতে পারে অভিযুক্তের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:১৩
মৃত মহালক্ষ্মী।

মৃত মহালক্ষ্মী। — ফাইল চিত্র।

অবশেষে বেঙ্গালুরুর তরুণী খুনে অভিযুক্তের হদিস! কর্নাটকের মন্ত্রী দাবি করেছেন, সেই অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেফতারির ব্যবস্থা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গত ২১ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর ফ্ল্যাটে ফ্রিজের ভিতর থেকে মহালক্ষ্মী নামে ওই তরুণীর টুকরো করা দেহ মিলেছিল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

কর্নাটকের পুলিশমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের এক ব্যক্তি সন্দেহভাজন বলে খবর মিলেছে। তাঁকে গ্রেফতারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। তবে সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেন, ‘‘সব দিক দিয়ে বিচার করে তদন্ত চালানো হচ্ছে। মূল অভিযুক্তের হদিস মিলেছে। তাঁকে গ্রেফতারির ব্যবস্থা চলছে।’’ তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত কর্নাটকের নয়। তবে এর থেকে বেশি তথ্য তিনি দিতে পারবেন না। কারণ, এতে সুবিধা হতে পারে অভিযুক্তের।

২৯ বছরের মহালক্ষ্মীর দেহটি প্রায় ৩০ টুকরো করে কাটা হয়েছিল। এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি বেঙ্গালুরু পুলিশ। মহালক্ষ্মী যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, তার মালিকের থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন বলে দাবি করেছেন মা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ওর বাড়ির মালিক রাতে আমাদের ফোন করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসছে। আমার মেয়ের দেহ কেটে ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়েছিল।’’

বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন মহালক্ষ্মী। তিনি বিবাহিত ছিলেন, কিন্তু স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। একাই থাকতেন ওই ফ্ল্যাটে। পিটিআই জানিয়েছে, ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁর স্বামী। পুলিশের সন্দেহ, দেহ মেলার দু’-তিন দিন আগে খুন করা হয়েছে মহালক্ষ্মীকে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় অনেকেই দিল্লির শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া দেখেছেন। ২০২২ সালের ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে গলা টিপে খুন করেন তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালা। অভিযোগ, এর পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করেন। প্রায় তিন সপ্তাহ সেই দেহের টুকরো নিজের বাড়ির ফ্রিজে রেখে দেন। তার পর তা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement