Odisha

বাড়ির পাশেই মস্ত চাক, ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির কামড়ে ওড়িশায় প্রাণ গেল তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের

মৌমাছির আক্রমণে ওই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। তরুণের এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি ওই আবাসনে একাই থাকতেন ওই তরুণ। কোয়ার্টারের পাশেই ছিল মৌমাছির চাক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৪৯

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাড়ির অদূরেই বাসা বেঁধেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি। তাদের কামড়েই প্রাণ গেল তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রায়রংপুর থানার মহুলডিহায় ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণের নাম বিশ্বনাথ মুর্মু। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ মহুলডিহার এক সরকারি কোয়ার্টারে থাকতেন। ওই আবাসনের কাছেই একটি বড়সড় মৌমাছির চাক ছিল। রবিবার সকালে কোনও কারণে মৌমাছিগুলি উত্তেজিত হয়ে ওই তরুণকে আক্রমণ করে। ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি ঘিরে ধরে তাঁকে। মৌমাছির কামড়ে গুরুতর জখম হন বিশ্বনাথ। অবস্থা দেখে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয়েরাই ধরাধরি করে তাঁকে নিকটবর্তী রায়রংপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। তত ক্ষণে অসংখ্য মৌমাছির কামড়ে ওই তরুণের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৌমাছির আক্রমণে ওই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। তরুণের এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি ওই আবাসনে একাই থাকতেন ওই তরুণ। কোয়ার্টারের পাশেই মৌমাছিরা বাসা বেঁধেছিল। তবে এত দিন কোনও সমস্যা হয়নি, এমনটাই জানাচ্ছেন প্রতিবেশী। উল্লেখ্য, ময়ূরভঞ্জ ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে মাঝে মাঝেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। দিনকয়েক আগেই কেন্দ্রাপড়াতে একটি স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান চলাকালীন এক দল পড়ুয়া ও শিক্ষককে আক্রমণ করেছিল মৌমাছির দল। এক দল বাঁদর মৌমাছির চাকে হাত দিতেই ওই বিপত্তি ঘটে। তবে ওই ঘটনায় শিক্ষক ও পড়ুয়ারা বেশ জখম হলেও কারও মৃত্যু হয়নি।

Advertisement
আরও পড়ুন