Jawharlal Nehru University

যৌন নিগ্রহের অভিযোগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নেয়নি! জেএনইউ-এর পড়ুয়া বসলেন ধর্নায়

অভিযোগকারিণীর দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেএনইউ ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসেছেন ওই পড়ুয়া।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৯
JNU student on strike against inaction over complaint of sexual harassment

জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

যৌন নিগ্রহের অভিযোগ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর এক পড়ুয়া। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে জেএনইউ ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্নায় বসলেন ওই পড়ুয়া।

Advertisement

ওই পড়ুয়ার বক্তব্য, গত ৩১ মার্চ রাতে তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ চালান বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই প্রাক্তন পড়ুয়া-সহ মোট চার জন। তিনি চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গোটা ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও ওই চার অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

অভিযোগকারিণীর কথায়, “অভিযোগ জানানোর পর ৩০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না। আমরা ক্লাস না করে শুধু বিচার চেয়ে এ দিক ও দিক ঘুরছি, দোষীরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যদিও বক্তব্য, নিয়ম মেনেই গোটা প্রক্রিয়াটি চলছে। এই প্রসঙ্গে জেএনইউ-র প্রোক্টর সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “আমরা নিয়ম মেনেই এগোচ্ছি। তাই সময় লাগছে। আমরা অভিযুক্তদেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিচ্ছি।”

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী। তাঁর অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদও নিষ্ক্রিয় রয়েছে বলে মত তাঁর। ওই পড়ুয়ার কথায়, “যখন দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নিষ্ক্রিয়, বুঝলাম যে আমাকেই বিষয়টা বুঝে নিতে হবে। তারা (ছাত্র সংসদ) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যখন এই বিষয়ে কথা বলতে গেল, তখন আমি এবং আমার বন্ধু অন্য কাজে ব্যস্ত। নিগৃহীতকে ছাড়াই অভিযোগ দায়ের করা হল।” জেএনইউ-র বাম পরিচালিত ছাত্র সংসদের দাবি, অভিযুক্ত চার ছাত্রই আরএসএস-এর ছাত্র শাখা এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে এবিভিপি।

আরও পড়ুন
Advertisement