চলছে নজরদারী। —ফাইল চিত্র।
পহেলগাঁওয়ের হত্যালীলায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজ পেতে পুরস্কার ঘোষণা করল জম্মু এবং কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীরের অনন্তনাগ পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, জঙ্গিনিধন অভিযানে সাহায্য হওয়ার মতো কোনও তথ্য দিয়ে কেউ সহায়তা করলে তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। মঙ্গলবার কাশ্মীর উপত্যকায় ওই নির্মম হত্যালীলার পর থেকে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে কাশ্মীরে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি ধরা পড়ার খবর মেলেনি। এই অবস্থায় সন্দেহভাজনদের খোঁজ পেতে উপত্যকার সাধারণ বাসিন্দাদেরও সাহায্য চাইছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।
মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জন পর্যটককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। হামলার দায় নিয়েছে পাক জঙ্গি গোষ্ঠী লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি, গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, ছয়-সাত জন জঙ্গি মিলে ওই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচ জন পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন। আর দু’জন উপত্যকা বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, জঙ্গিদের খুঁজে বার করতে কাশ্মীর জুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এবিপি নিউজ়-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বুধবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ফিরেছেন। কাশ্মীর উপত্যকায় গিয়ে তিনি ভরসা দিয়েছেন, এই নৃশংস জঙ্গি হামলায় দোষীরা কেউ রেহাই পাবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের হত্যাকাণ্ডের পর বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে নয়াদিল্লিতে। শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ভারত। বাতিল করে দেওয়া হয় সমস্ত সার্ক ভিসা। ওই ভিসায় ভারতে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের দেশ ছাড়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেয় নয়াদিল্লি। এ ছাড়া সিন্ধু জলচুক্তিও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ওয়াঘা-আট্টারি সীমান্তও।