পাইলট সৃষ্টি তুলি। ছবি: সংগৃহীত।
বেশ তো হাসিখুশিই ছিলেন। কিন্তু ১৫ মিনিটের মধ্যে কী এমন হল? এই প্রশ্ন তুলছে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট সৃষ্টি তুলির পরিবার। তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা নয়, সৃষ্টিকে পরিকল্পিত ভাবে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। বুধবার মুম্বইয়ের আবাসন থেকে সৃষ্টির দেহ উদ্ধার হয়।
এক সংবাদমাধ্যমকে সৃষ্টির কাকা বিবেক জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝি খুব প্রাণবন্ত এবং সাহসী ছিলেন। ওঁর বাবা সেনায় কাজ করতেন। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। বাবার মতোই লড়াকু মনের ছিলেন সৃষ্টি। বায়ুসেনার পাইলট হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ওঁর ঠাকুরমা চেয়েছিলেন সৃষ্টি বাবার মতোই সেনায় যোগ দিক। তবে বায়ুসেনার পাইলট হতে না পারলেও অসামরিক বিমানের পাইলট হতে পেরে বেশ গর্বিত ছিলেন সৃষ্টি।
পুলিশের দাবি, সৃষ্টি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু সৃষ্টির কাকা সেই দাবি মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘সাড়ে ১১টাতেও ও হাসিখুশি ছিল। মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। সব ঠিক আছে সেটাও জানিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরবে বলে জানিয়েছিল।’’ এর পরই বিবেকের দাবি, পুলিশ যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে হাসতে হাসতেই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল। তার পর ১৫-২০ মিনিটের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল? বিবেকের কথায়, ‘‘এটা কি কখনও সম্ভব? হাসতে হাসতে ঘরে ঢুকল, ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হল!’’ তাঁর ভাইঝির সব রকম মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা ছিল। যে কোনও পরিস্থিতি সামলানোর ক্ষমতা ছিল সৃষ্টির। সামান্য কোনও ঘটনা সৃষ্টিকে বিচলিত করতে পারত না। সেই মেয়ে কী ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারল? প্রশ্ন তুলেছেন বিবেক। তার পরই তাঁর দাবি, ‘‘এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন।’’