landslide

রুদ্রপ্রয়াগ, টিহরী গঢ়বাল, সবচেয়ে ধসপ্রবণ, আর কোন কোন জেলার বিপদ ধরা পড়ল ইসরোর চোখে

হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি)-এর এক দল বিজ্ঞানী দেশের ধসপ্রবণ জায়গাগুলি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪৭
landslide

নতুন সমীক্ষায় ধরা পড়েছে দেশের কোন কোন জায়গা ধসপ্রবণ। ফাইল চিত্র।

দেশের কোন কোন জায়গা ধসপ্রবণ উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করে জানাল ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো)। ওই উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধসপ্রবণ জায়গা হল উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ এবং টিহরী গঢ়বাল জেলা।

হায়দরাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (এনআরএসসি)-এর এক দল বিজ্ঞানী দেশের ধসপ্রবণ জায়গাগুলি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন। তাঁরা যে তালিকাটি প্রকাশ করেছেন সেখানে ১৭টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৪৭টি ধসপ্রবণ জেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে উত্তরাখণ্ডেরই ১৩টি জেলা অত্যন্ত ধসপ্রবণ।

Advertisement

এনআরএসসি-র তথ্য বলছে, উত্তরাখণ্ড ছাড়াও আরও যে ১০টি বেশি ধসপ্রবণ জেলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে ৪টি কেরলের বন্যাপ্রবণ জেলা, ২টি জম্মু-কাশ্মীরের, ২টি সিকিমের। উত্তরাখণ্ডের ২টি জেলা রুদ্রপ্রয়াগ এবং টিহরী গঢ়বাল ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে কেরলের ত্রিশূর, পালাক্কড়, কোঝিকোড় এবং মলপ্পুরম, জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি এবং পুঞ্চ, সিকিমের দক্ষিণ এবং পূর্বের জেলাগুলি।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের এই দুই জেলা। এবং তালিকার ১৪৬ এবং ১৪৭তম স্থানে রয়েছে হরিদ্বার এবং উধম সিংহ নগর। এ ছাড়াও ১৯তম স্থানে চামোলি, উত্তরকাশী ২১, পউরি ২৩, দেহরাদূন ২৯, বাগেশ্বর ৫০, চম্পাবত ৬৫, নৈনিতাল ৬৮, আলমোড়া ৮১ এবং পিথোরাগড় ৮৬তম স্থানে রয়েছে। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত দেশের ১৭টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৪৭টি জেলায় ৮০ হাজার ভূমিধসের ভিত্তিতে এই সমীক্ষা করেছে এনআরএসসি।

নতুন সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ২০০০-’১৭ সালের মধ্যে ভূমিধসের সবচেয়ে বেশি ‘হটস্পট’ রয়েছে মিজোরামে (১২,৩৮৫)। তার পর উত্তরাখণ্ড (১১,২৯১), জম্মু-কাশ্মীর (৭,২৮০), হিমাচল প্রদেশ (১,৫৬১) এবং কেরল (৬,০৩৯)। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের ৪টি ধসপ্রবণ দেশের মধ্যে ভারত রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement