আরব সাগরে নৌসেনার মহড়া। রবিবার। ছবি: ভারতীয় নৌসেনার এক্স হ্যান্ডল।
আরব সাগরে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে ভারতীয় নৌসেনা। রবিবার সকাল থেকে বাহিনীর একাধিক রণতরী আরব সাগরে মহড়ায় ব্যস্ত। চলছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ভারতের যুদ্ধজাহাজগুলি কতটা সক্ষম, তা ঝালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনেকের মতে, এ ভাবেই প্রত্যাঘাতের বার্তাও দিয়ে রাখছে ভারত। নৌসেনার তরফে সরাসরি সে কথা বলা হয়নি। তবে তারা জানিয়েছে, যুদ্ধের জন্য তারা সদা প্রস্তুত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নৌসেনার এক কর্তা বলেন, ‘‘যে কোনও পরিস্থিতির জন্য আমরা কতটা প্রস্তুত, তা প্রদর্শনের জন্য ভারতীয় নৌসেনার জাহাজগুলি মহড়ায় যোগ দিয়েছিল। মহড়া সফল হয়েছে। আমরা যে প্রস্তুত, এটা তার প্রমাণ।’’ বস্তুত, একটি জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে হামলা চালানো, শত্রুপক্ষের জাহাজ উড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় মহড়া হয়েছে আরব সাগরে। ওই কর্তা আরও বলেন, ‘‘দেশের সামুদ্রিক এবং নৌ সংক্রান্ত স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে নৌসেনা প্রস্তুত। সব সময়, সব জায়গায় এবং সব রকম ভাবে।’’
নৌসেনার মহড়ায় ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র। মাঝসমুদ্র থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। নৌসেনার তরফে মহড়ার একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনার এই মহড়ায় অসন্তুষ্ট পাকিস্তান। এ বিষয়ে তারা একটি বিবৃতিও জারি করেছে।
শনিবার ভারতীয় সেনার স্থলবাহিনী একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। তাতেও ছিল প্রত্যাঘাতের বার্তা। সেনা জানিয়েছিল, তারা সর্বদা দেশের স্বার্থরক্ষার জন্য যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। রবিবার মহড়ায় অনুরূপ বার্তা দিল নৌসেনাও।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে এক বিদেশি-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পর পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করা হয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি। পাকিস্তানও পাল্টা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। পাকিস্তান জানিয়ে দিয়েছে, সিন্ধুর জল বন্ধ হলে তা ‘যুদ্ধ’ হিসাবে দেখা হবে। তার মাঝেই মহড়ায় বার্তা দিল নৌসেনা।