ফাইল ছবি
ভারত এখনও সামগ্রিক অর্জিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (হার্ড ইমিউনিটি)-য় পৌঁছয়নি। সেই কারণেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই আগামী ১২৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ভিকে পল জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকাতে স্বাস্থ্যবিধি সঠিক ভাবে মেনে চলতে হবে।
তিনি শুক্রবার বলেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি এখনও দেশে আসেনি। এখনও নানা জায়গায় সংক্রমণ নজরে পড়ছে। কিন্তু সেই সংক্রমণ আমাদের আটকাতে হবে। সেই কারণেই নিরাপদে থাকা বিশেষ জরুরি।’’ পাশাপাশি তিনি বলেছেন, দেশের সামনে আগামী ১২৫ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক দেশের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। বলেছেন, ‘‘এই সময়ের মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। ইতিমধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের প্রধানমন্ত্রীও তা নিয়ে সতর্ক করেছেন। অন্য দেশের পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।’’
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রতিবেশী একাধিক দেশ, যেমন মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশে দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও বড় আকার ধারণ করেছে।’’
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, করোনা নিয়ে কড়াকড়ি সামান্য শিথিল হওয়ার পরেই মাস্ক পরায় একটা অনীহা দেখা দিচ্ছে। লকডাউন পরবর্তীতে দেশে মাস্ক না পরার প্রবণতা ৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।