S-400

S-400: চিনের মোকাবিলায় অরুণাচল, লাদাখের সীমান্তে ভারতীয় সেনার অস্ত্র এ বার এস-৪০০

ডিসেম্বরে দু’টি এস-৪০০ রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। জানুয়ারিতেই সেগুলি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে মোতায়েন হবে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ১৩:০০
এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র।

এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র। ফাইল চিত্র।

লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিনা ফৌজের মোকাবিলার উদ্দেশে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা মোতায়েন করবে ভারতীয় সেনা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী বছরের গোড়াতেই রাশিয়া থেকে আনা দু’টি এস-৪০০ উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হবে।

ভারতীয় সেনার ‘এয়া ডিফেন্স রেজিমেন্ট’-এর নিয়ন্ত্রণে এস-৪০০ মোতায়েন হওয়ার পরে এলএসসি-তে শক্তির ভারসাম্যে বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লি পাল্লা দিতে পারবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ। শুধু ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে শত্রুর বিমান এবং ড্রোনও ধ্বংস করা যাবে।

২০১৯ সালের গোড়ায় আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনার চুক্তি বাতিল করলে ভারত টার্মিনাল হাই অলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) এবং পেট্রিয়ট-৩ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাবে। কিন্তু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের তুলনামূলক বিচার করে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্তে অটল থাকে নয়াদিল্লি। রাশিয়ার থেকে চিনও এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কিনেছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রথম রুশ বাহিনীতে এস-৪০০ অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৪-য় এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে যোগাযোগ করে নয়াদিল্লি। এর পর আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পুতিনের দিল্লি সফরের সময় এ বিষয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সই হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসে প্রথম দফায় দু’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা রাশিয়া থেকে ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। পরের দফায় আসবে আরও তিনটি।

আরও পড়ুন
Advertisement