প্রতীকী ছবি।
প্রাথমিক চুক্তি হয়ে গিয়েছে আগেই। সেই মতো শুরু হয়েছে কাজও। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের আগে সেই সমঝোতায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ল। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীর অস্ত্র কারখানায় শুরু হবে যৌথ উদ্যোগে উন্নততর একে-৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরির প্রক্রিয়া।
সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুরের সই করা চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১০ বছরে অমেঠীর ‘করওয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি’তে রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছ’লক্ষের বেশি কালাশনিকভ সিরিজের সর্বাধুনিক সংস্করণ একে-২০৩ রাইফেল তৈরি হবে। চুক্তির অঙ্ক ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
টুইটারে কালাশনিকভ চুক্তির কথা জানিয়ে রাজনাথ লিখেছেন, ‘রাশিয়ার দৃঢ় সহযোগিতাকে ভারত গভীর ভাবে উপলব্ধি করে। আমরা আশা করি আমাদের সমন্বয় আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্থিতি আনবে।’
India deeply appreciates Russia’s strong support for India. We hope that our cooperation will bring peace, prosperity and stability to the entire region.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) December 6, 2021
Glad that a number of Agreements/Contracts/Protocols were signed pertaining to small arms and military cooperation.
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের রাশিয়া সফরের সময় গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ দেশের অস্ত্র কারখানাতেই কালাশনিকভ রাইফেলের সর্বাধুনিক মডেল বানানোর অনুমতি পায় ভারত।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে অমেঠীর করওয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে একে-২০৩ রাইফেল উৎপাদন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশ্য তার আগেই, ইউপিএ জমানায় তৈরি ওই কারখানায় বিভিন্ন ছোট অস্ত্রের উৎপাদন শুরু হয়েছিল। নভেম্বরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিক ভাবে কালাশনিকভ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল প্রস্তুতকারী রুশ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিকে ছাড়পত্র দেয়।
ভারতে তৈরি ইনসাস রাইফেলের বদলে সেনার পদাতিক ব্যাটেলিয়ন এবং রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের অস্ত্র হিসেবে একে-২০৩ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ব্যবহৃত হবে। ৫.৫৬ মিলিমিটারের ইনসাসের তুলনায় একে সিরিজের ৭.৬২ মিলিমিটার কার্তুজ অনেক বেশি প্রাণঘাতী। কার্যকরী পাল্লাও বেশি। সাত দশকের পুরনো রুশ একে-৪৭-এর মূল নকশাকে সময়োপযোগী করে আধুনিকীকরণ করা হয়েছে ওই রাইফেলের মডেলে। অত্যাধুনিক ওই রাইফেল থেকে মিনিটে প্রায় ৬০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া সম্ভব।