বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। —ফাইল চিত্র।
এক মাসের বেশি জেলবন্দি বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। গত কালই চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতে ফের খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর জামিনের আবেদন। আজ এই নিয়ে ঢাকাকে বার্তা দিয়ে দিল্লির বক্তব্য, ‘সুবিচার’ করা হোক। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। বাংলাদেশে যে ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে, সেখানে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের সুযোগ পাওয়া উচিত। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”
প্রশ্ন ওঠে বাংলাদেশের পক্ষে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো কূটনৈতিক বার্তাটি নিয়ে। আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেই মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে একটি নোট পেয়েছি। এই ঘটনায় আমাদের কাছে এইটুকুই তথ্য আছে।” পরে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হয় হাসিনার প্রত্যপর্ণের বিষয়টি নিছক কূটনৈতিক নয়, আইনিও। সমস্ত আইনি দিক খতিয়ে দেখেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত হাসিনাকে যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না, সেই ইঙ্গিত মিলেছে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে তুরস্কের এক সংস্থা থেকে বাংলাদেশের সামরিক ট্যাঙ্ক কেনার খবর নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। বাংলাদেশের ওই সিদ্ধান্ত ভারতকে কোনও বার্তা দেওয়ার জন্য কি না তা জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত সব সময় তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। এই প্রসঙ্গেই মুখপাত্র আজ বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রীর সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময়ে দেওয়া বিবৃতির কথা নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছেন। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও সব শ্রেণির মানুষকে নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ দেখতে চায়। তাঁর কথায়, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহের কথাও বিদেশসচিব জানিয়ে এসেছেন, যা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তিশীল।”