বীড়ের নির্দল প্রার্থী বালাসাহেব শিন্ডে। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হল খোদ প্রার্থীর। নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ভোটারদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ওই বুথে বেশ কিছু ক্ষণ ভোটগ্রহণ পর্ব স্থগিতও হয়ে গিয়েছিল। মৃতের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল বুধবার। বীড় কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়ছিলেন বালাসাহেব শিন্ডে। দুপুরে সংশ্লিষ্ট বুথে গিয়ে ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকা পড়ে যান তিনি। ছত্রপতি শাহু বিদ্যালয়ের বুথে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আচমকা সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন বালাসাহেব। সকলে তাঁকে ধরাধরি করে তোলেন এবং হাসপাতালে পাঠান। সহযোগিতা করেছিলেন বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকেরাও। নির্দল প্রার্থীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বীড়ের কাকু নানা হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় ছত্রপতি সম্ভাজীনগর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে নির্দল প্রার্থীর। পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ চলাকালীন যদি কোনও প্রার্থীর মৃত্যু হয়, তবে ওই আইনের ৫২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট আসনে ভোট পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কী করা হবে, এখনও স্পষ্ট নয়।
বীড় বিধানসভা কেন্দ্র শরদ পওয়ারের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) গড় বলে পরিচিত ছিল। পরে এনসিপি ভেঙে যায় এবং অজিত পওয়ার হাত মেলান বিজেপি এবং একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা দলের সঙ্গে। মহারাষ্ট্রের ভোটে লড়াই মূলত এই জোট এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও কংগ্রেসের জোটের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি আসনে এক দফাতেই ভোট হয়েছে বুধবার। ২৩ নভেম্বর এই ভোটের ফল জানা যাবে।