উত্তর এবং পশ্চিমের কিছু অঞ্চলে এর মধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (আইএমডি)। — ফাইল ছবি।
ফেব্রুয়ারি মাস এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই দেশের উত্তর এবং পশ্চিমে লাফিয়ে বেড়েছে তাপমাত্রা। কিছু অঞ্চলে এর মধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন (আইএমডি)। বসন্তেই এ রকম হলে কেমন হবে গ্রীষ্ম? আশঙ্কায় নাগরিকরা।
পশ্চিম ভারতে কোঙ্কণ এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের কচ্ছ অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে মৌসম ভবন জানিয়েছে, এখনই সেখানে দিনের তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। তারা এও জানিয়েছে, এত আগে তাপপ্রবাহের সতর্কতা এ দেশে এই প্রথম জারি হল। সাধারণত মার্চের শুরু থেকে এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়। আবহাওয়াবিদদের একাংশের আশঙ্কা, এ রকম চললে বসন্ত ঋতু বিলীন হয়ে যেতে পারে।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন শহরে এই সময় দিনে যে তাপমাত্রা থাকে, তার তুলনায় এখন পাঁচ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা রয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, দিল্লিতে দিনের তাপমাত্রা এখন ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন-চার দিন তাপমাত্রা এ রকমই থাকতে পারে।
দিন কয়েক আগে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পঞ্জাব, ওড়িশা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়ে মার্চের মাঝামাঝি দিনের তাপমাত্রা যা থাকে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই তা হয়ে গিয়েছে। গত দু’বছরের নিরিখে দিল্লিতে সোমবারটা ছিল ফেব্রুয়ারির উষ্ণতম দিন। রাজধানীর পিতমপুরায় সোমবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময় স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা থাকে, তার থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই পরিসংখ্যান যদি থাকে, তা হলে মার্চেও স্বাভাবিকের থেকে বেশি তাপমাত্রা থাকবে।
তাপপ্রবাহ সাধারণত গ্রীষ্মকালেই হয়ে থাকে। তবে সব সময় যে ওই সময়ই তাপপ্রবাহ হবে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় স্থানীয় এলাকা নির্বিশেষে তাপপ্রবাহের সংজ্ঞা বদলে যায়। কোনও এলাকায় কোনও নির্দিষ্ট সময়ে এমনিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার যা গড় থাকে, তার থেকে বেশি হলেও বলা চলে তাপপ্রবাহ হচ্ছে। মে মাসে কোনও এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেলেও যে তাপপ্রবাহ হবেই, এমন বলা যাবে না। আবার মার্চে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে পশ্চিম এবং উত্তরপশ্চিম ভারতের বহু জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে।