Protection of Children Against Sexual Offences (POCSO) Act

নাবালক পুত্রকে পর্নোগ্রাফি দেখানোর দায়ে আইআইটি রুরকি-র অধ্যাপক! যৌন হেনস্থার মামলা করেন স্ত্রী

শিক্ষকের স্ত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে যখন তাঁরা জার্মানিতে ছিলেন। সেখানে নাবালক সন্তানকে তিনি পর্নোগ্রাফিক ভিডিয়ো দেখাতেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৯
pocso

—প্রতীকী চিত্র।

নাবালক পুত্রকে পর্নোগ্রাফিক ভিডিয়ো দেখানোর দায়ে আইআইটি রুরকি-র এক শিক্ষক। স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আগেই পরিবার আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্ত। কিন্তু উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে পরিবার আদালতের রায়ই বহাল রেখেছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ছেলে এবং স্ত্রীর দেখাশোনার জন্য মাসে ৪৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে শিক্ষককে।

Advertisement

শিক্ষকের স্ত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। ওই সময়ে কর্মসূত্রে জার্মানিতে ছিলেন ওই শিক্ষক। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী-পুত্র। সেখানে নাবালক সন্তানকে তিনি পর্নোগ্রাফিক ভিডিয়ো দেখাতেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করেন। তার জেরে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয় বলে আদালতে জানিয়েছেন স্ত্রী।

২০১৭ সালে দেশে ফেরার পরে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন অভিযোগকারিণী। তাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৭৭ ধারা (বিকৃত যৌনতা) এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। স্ত্রীর দাবি, স্বামী তাঁর সঙ্গে নিয়মিত পায়ুকামে বাধ্য করেছেন। সে জন্য তাঁকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। জার্মানিতে থাকার সময় বার বার তিনি শারীরিক নিগ্রহের শিকার হন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, শিক্ষক স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক বিদেশি মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন এবং পুত্রের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ করেন ওই মহিলা।

ওই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইআইটি-র শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩৭৫ ধারায় (ধর্ষণ) রয়েছে। কিন্তু যে হেতু ধর্ষণের অভিযোগকারিণী স্বয়ং অভিযুক্তের স্ত্রী, সে ক্ষেত্রে ওই ধারা প্রযোজ্য হবে না। তবে শিশুসন্তানকে অসঙ্গত জিনিস প্রদর্শনের জন্য বাবা দায়ী। তাই পকসো আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement