Odisha Triple Train Accident

ওড়িশায় মৃতের পরিবার কিংবা আহতেরা ক্ষতিপূরণ চাইবেন কী ভাবে? পদ্ধতি জানাল রেল

বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বহু প্রাণ। মৃতের পরিবার এবং আহতদের আর্থিক সহায়তার জন্য ক্ষতিপূরণ আগেই ঘোষণা করেছিল রেল। এ বার তা গ্রহণের প্রক্রিয়াও জানানো হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বালেশ্বর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ ০৭:৫৩
How to claim compensation from Railways in Odisha Triple Train accident tragedy.

বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে সারে সারে মৃতদেহ। নিজস্ব চিত্র।

বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ২৮৮টি প্রাণ। যদিও ওড়িশা সরকারের হিসাব বলছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫। এ ছাড়া, শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮০০-র বেশি মানুষ। মৃতের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রেল। এ বার, সেই ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে চাইতে হবে, সেই পদ্ধতিও জানানো হল।

সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়াটি জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কাছের মানুষকে হারানোর শোকের কাছে কোনও ক্ষতিপূরণই যথেষ্ট নয়। তবু মৃতের পরিবারের জন্য এবং আহতদের আর্থিক সহায়তার জন্য কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এই ক্ষতিপূরণ পেতে হলে কিছু নিয়ম মানতে হবে।

Advertisement

মৃতের পরিবারের সদস্যেরা কিংবা আহতেরা বালেশ্বর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যার কথা শোনা এবং সমাধানের জন্য কিছু হেল্পলাইন নম্বরও (8249591559, 7978418322, 9439981999) জানিয়েছে রেল। এ ছাড়া, কেউ চাইলে রেলের নম্বরেও (64810) ফোন করে সাহায্য চাইতে বা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে। এই দুঃসময়ে রেল দুর্ঘটনাগ্রস্ত সকল যাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

রেল আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বহু মৃতদেহ তারা উদ্ধার করেছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দ্রুত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু অনেক যাত্রীর দেহই এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অশনাক্ত দেহগুলি মর্গে সাময়িক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বালেশ্বর, সোরো এবং বাহানগা বাজার থেকে মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement