Meerut Murder Case

মাদকের ইঞ্জেকশন চান মুস্কান, নেশা ছাড়া সাহিলও কাহিল! জেলে ছটফট করছেন দুই অভিযুক্ত

জেল সূত্রে খবর, মাদকের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন মুস্কান এবং সাহিল। মাদক ছাড়া এক মুহূর্তও কাটছে না তাঁদের। মুস্কান চাইছেন মরফিন ইঞ্জেকশন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩২
সৌরভ রাজপুত খুনে অভিযুক্ত (বাঁ দিকে) সাহিল শুক্ল এবং মুস্কান রস্তোগী (ডান দিকে)।

সৌরভ রাজপুত খুনে অভিযুক্ত (বাঁ দিকে) সাহিল শুক্ল এবং মুস্কান রস্তোগী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মেরঠে মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুত খুনে অভিযুক্ত স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁর প্রেমিক সাহিল শুক্ল জেলে কাহিল হয়ে পড়েছেন। তাঁরা দু’জনেই মাদকে আসক্ত ছিলেন। জেলে গিয়ে তা একেবারেই পাচ্ছেন না। নেশা ছাড়া ছটফট করছেন দুই অভিযুক্ত। লকআপের ভিতরে তাঁদের সামলে রাখাই দায় হয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, মাদকের ইঞ্জেকশনের জন্য কান্নাকাটি করছেন মুস্কান। মাদক চাইছেন সাহিলও। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কড়া নজরে রেখেছেন। আপাতত দু’জনেই রয়েছেন মেরঠ জেলা সংশোধনাগারে।

Advertisement

জেল সূত্রে খবর, মাদকের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন মুস্কান এবং সাহিল। মাদক ছাড়া এক মুহূর্তও কাটছে না তাঁদের। মুস্কান চাইছেন মরফিন ইঞ্জেকশন। সাহিল মারিজুয়ানার জন্য পাগলের মতো আচরণ করছেন। আপাতত জেলের মেডিক্যাল দল তাঁদের সামলাচ্ছে। শুরু হয়েছে নেশা ছাড়ানোর চিকিৎসা। এই পরিস্থিতিতে মুস্কান এবং সাহিল যাতে নিজেদের কোনও ক্ষতি না-করে ফেলেন, যাতে তাঁদের দ্বারা জেলের অন্য কারও ক্ষতি না-হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা কঠোর নজরে রাখা হয়েছে দু’জনকে।

চার দিন আগে মুস্কান এবং সাহিলকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। মেরঠ জেলা সংশোধনাগারের মহিলা ওয়ার্ডে মুস্কানকে রাখা হয়েছে। সাহিল আছেন পুরুষদের ওয়ার্ডে। জেলে আসার কিছু সময় পর থেকেই তাঁরা অস্থির হয়ে পড়েন। প্রথম রাতেই মুস্কানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। জেলের চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে জানান, মুস্কান মাদকে আসক্ত। তার পরেই সাহিলের চিৎকার শোনা যায়। মাদক চেয়ে জেলের ভিতর ছটফট করতে থাকেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনেই নিয়মিত মাদকের ইঞ্জেকশন নিতেন।

মাদক ছাড়ার চেষ্টা করলে সাধারণত খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি হয়। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মুস্কান এবং সাহিল প্রথম দিন থেকেই কিছু খেতে চাইছেন না। তাঁদের স্থিতিশীল হতে দিন দশেক লাগতে পারে। চিকিৎসকেরা জানান, শারীরিক ভাবে দিন দশেকের মধ্যে তাঁরা স্থিতিশীল হতে পারলেও মানসিক ভাবে মাদকের প্রভাব কাটতে অনেক সময় লাগবে। এই ধরনের মাদক মনের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। অধিকাংশ নৃশংস অপরাধে মাদকের প্রভাবের প্রমাণ মিলেছে।

প্রেমিক সাহিলের সহায়তায় স্বামী সৌরভকে খুনের অভিযোগ রয়েছে মুস্কানের বিরুদ্ধে। সৌরভের দেহ তাঁরা ১৫ টুকরো করে কেটেছিলেন। তার পর তা ড্রামে ভরে সিমেন্ট ঢেলে দেন। খুনের পর শিমলা চলে গিয়েছিলেন দু’জন। সেখান থেকে ফেরার পর তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন