খুনের সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ছবি সৌজন্য টুইটার।
তখন সন্ধ্যা নেমে এসেছে। পাড়ার দোকানে কেউ আড্ডা মারছিলেন। কেউ রাস্তার পাশে চেয়ারে বসে অলস সময় কাটাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তিন যুবককে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে আসতে দেখা গেল। একটু এগিয়ে গিয়ে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য এক যুবককে ঘিরে ধরলেন তাঁরা। কিছু কথা কাটাকাটির পর হঠাৎই তিন যুবকের মধ্যে এক জন ওই যুবককে চেপে ধরার চেষ্টা করেন। হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করতেই ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ বসাতে শুরু করে দেন তিন জন।
বাঁচানোর জন্য তখন চিৎকার করছিলেন আক্রান্ত যুবক। যেখানে তাঁর উপর হামলা চালানো হচ্ছিল, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে চেয়ারে গা এলিয়ে বসেছিলেন এক জন। অন্য আর এক জনকে দেখা গেল একটি বাইকের উপর বসে মোবাইল দেখছেন। সামনে এক যুবককে ছুরি দিয়ে কোপানো হচ্ছে, আর ওই দু’জন নিরুত্তাপ হয়ে বসে রয়েছেন। যেন কোনও কিছুই ঘটছে না তাঁদের সামনে!
এরই মাঝে কয়েক জনকে পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেও দেখা গেল। কেউ এক বার মুখ ঘুরিয়ে দেখলেন, কিন্তু সবাই নির্বিকার। ২০ বার কোপানোর পর সকলের সামনে দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন হামলাকারীরা। ভয়ানক এই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিটিটিভি ক্যামেরায়। যুবককে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি দিল্লির সুন্দর নগরী এলাকার। শনিবার সন্ধ্যায় মণীশ নামে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে আলম, বিলাল, ফৈজান নামে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পুরনো শত্রুতার জেরে এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে মণীশের ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কাশিম এবং মহসীন নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। মণীশ এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন। মণীশের পরিবারের অভিযোগ, তার পর থেকেই মামলা তোলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি মামলা না তুললে মণীশকে খুন করারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।