প্রতীকী ছবি
অনেকেরই ভালবাসায় বাধ সাধে পরিবার। আপত্তি থাকায় বিয়ে করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কোথাও কোথাও আবার জাত, পাত, গোত্রের এতই দাপট যে সামাজিক বিবাহে বাধা পড়ে। এমনই কোনও বাধার মুখে পড়ে পালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছেন, এমন দম্পতির উদাহরণ অনেক। কিন্তু তাতে কি আর সাধ মেটে?
বিপত্তি বাধে বিয়ের পরও। আদালতে আইনি বৈধতা পেতে অনেক কাটখড় পোড়াতে হয় দম্পতিদের। কিন্তু যদি পালিয়ে বিয়ে করেও আসল বিয়ের মতোই সুষ্ঠ ভাবে সবকিছু হত? পুরোহিত, সানাই, বিবাহ বাসর থেকে রেজিস্ট্রি— সব হত একেবারে প্রথা মেনে, তাহলে অনেকেরই হয়তো সুবিধা হত। সেই পরিষেবা দিতেই হরিয়ানায় তৈরি হয়েছে ‘বিয়ের দোকান’।
জাতীয় সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, হরিয়ানায় মাতা মনসা দেবী মন্দিরের রাস্তার সামনে সার দিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক দোকান যেগুলির কাজ পালিয়ে বিয়ে করতে আসা যুগলদের বিয়ের আয়োজন করে দেওয়া। সেখানে ভা়ড়া পাওয়া যায় বিয়ের সাজ, গয়না, ছবি তোলার সুযোগ থাকে, আইনজীবী মারফত সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়। মানে একেবারে স্বাভাবিক বিয়ের সবটুকু সাধপূরণ এক ‘প্যাকেজে’।
খরচ সামান্যই। ৫ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকার প্যাকেজ নিতে পারেন যে কেউ। খরচ কম, কারণ এই দোকানগুলিতে তৈরিই থাকে বিয়ের সামগ্রী। যার যখন যেমন প্রয়োজন, তখন তেমন ব্যবহারে কাজে লাগানো। ছবি তুলে তারপর ফেরত দিলেই হল। তারপর সোজা মন্দির। সেখানে আশীর্বাদ গ্রহণ করে নতুন জীবনের পথে পা বাড়াতে পারবেন নবদম্পতি।