Ramdev

নতুন বিপাকে রামদেব! সুপ্রিম কোর্টের পর এ বার হরিদ্বার আদালতে মামলা দায়ের, হাজিরার নির্দেশ

গত ১৬ এপ্রিল জেলা আয়ুর্বেদিক এবং উনানি অফিসার, দিব্যা ফার্মাসি এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল। সেই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর হরিদ্বারের আদালত রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে ১০ মে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১৭:০১
Haridwar court summon to Ramdev and Acharya Balkrishna in faalse ads case

যোগগুরু রামদেব। — ফাইল চিত্র।

আরও বিপাকে যোগগুরু রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণ। পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপন মামলায় এ বার তাঁদের সমন পাঠাল হরিদ্বারের একটি আদালত। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলছে। তার মধ্যেই নয়া নোটিস পেলেন রামদেবরা। এই নিয়ে হরিদ্বারের আদালত তাঁদের জোড়া সমন পাঠাল।

Advertisement

জ্বর, টাইফয়েড থেকে শুরু করে যকৃতের অসুখ, ত্বকের সমস্যা-সহ নানা ধরনের অসুস্থতার চিকিৎসায় সাধারণত যে সব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে ‘বিষাক্ত, সিন্থেটিক’ বলে দাবি করেছিলেন রামদেব। সেই দাবির বিরুদ্ধে মামলা হয়।

গত ১৬ এপ্রিল জেলা আয়ুর্বেদিক এবং উনানি অফিসার, দিব্যা ফার্মাসি এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল। সেই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর হরিদ্বারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) রাহুলকুমার শ্রীবাস্তব রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে ১০ মে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আদালতে আসেননি। তার পরই নতুন সমন পাঠালেন তিনি। আগামী ৭ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সে দিনই আদালতে রামদেবদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ জুন প্রথম বার করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল। তার পর ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ লক্ষ ৫৪ হাজার করোনিল কিট বিক্রি হয়েছে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়।

এই বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আইএমএ। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় বার বার ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় যোগগুরু রামদেব এবং এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে। ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’ দেওয়ায় রামদেবদেরকে ক্ষমা চাইতে বলে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন